West Bengal News : দরজা ঠেলে ঢুকলে মনে হবে কোনও মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানির কর্পোরেট অফিস। ল্যাপটপ, কম্পিউটার, আধুনিক আসবাবপত্র, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরার ব্যবস্থা সম্বলিত ঝাঁ চকচকে অফিস। কিন্তু অফিসটি আদতে প্রতারণার আঁতুড় ঘর। সোদপুরে ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল মা ও ছেলে।

অবশেষে পুলিশের জালে দুজনেই। গ্রেফতার কোম্পানির মালকিন বাবলি চক্রবর্তী ও তার ছেলে শুভজিৎ চক্রবর্তী। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে জামালপুর থানার পুলিশ। প্রতারণা চক্রের সঙ্গে কোনও রাঘব বোয়াল জড়িত কিনা সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Cyber Fraud : সাইবার প্রতারণার জালে খোদ বিচারপতি! রাজস্থান থেকে গ্রেফতার ১
কলকাতার বুকে প্রাইভেট কোম্পানির আড়ালে চলছিল প্রতারণা চক্র। রীতিমতো অফিস করে রাজ্য জুড়ে মোবাইল টাওয়ার বসানোর টোপ দিয়ে আর্থিক প্রতারণা করা হতো। গত বছরের ১৩ নভেম্বর পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বিষ্ণুবাটি গ্রামের বাসিন্দা গৌতম দাসের করা অভিযোগের পরিপেক্ষিতে তদন্তে নামে পুলিশ।

গ্রেফতার করা হয় বাবলি চক্রবর্তী ও তার ছেলে শুভজিৎ চক্রবর্তীকে। গ্রেফতার করে জামালপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের ২২ জুলাই টাওয়ার বসনোর নাম করে গৌতম দাসের কাছে একটি ফোন আসে।

Online Fraud : অনলাইন অ্যাপে গাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন, প্রতারকদের খপ্পরে বর্ধমানের বাসিন্দা
ফোনে জামালপুরের বিষ্ণুবাটিতে মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে মোটা টাকার প্রলোভন দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে মোট ৮৫ হাজার টাকা গৌতম দাসের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়। অনেক পরে গৌতম দাস নামে ওই গ্রাহক বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছে।

গত বছরের ১৩ নভেম্বর গৌতম দাস জামালপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে ফোনের সূত্র ধরে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যমগ্রাম থেকে শুভজিৎ চক্রবর্তী ও বাবলি চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে জামালপুর থানার পুলিশ। এরপর তাদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে PAS RETAILS PVT LTD নামে একটি কোম্পানি তৈরি করে সোদপুরে অফিস করা হয়েছিল। সেখান থেকেই রাজ্যজুড়ে প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিল শুভজিৎ চক্রবর্তী ও বাবলি চক্রবর্তী।

West Bengal Latest News: নামী ব্র্যান্ডের কৌটোয় নকল প্রসাধনী, রূপচর্চার জাল প্রোডাক্ট বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার ১
এরপরই সোদপুরের অফিসে হানা দেয় জামালপুর থানার পুলিশ। সোদপুরের অফিস থেকে ১৭টি ল্যাপটপ, ৪ টি ডেক্সটপ, ২ টো ট্যাব, ৭ টি মোবাইল ফোন, ৫ টি পেন ড্রাইভ সহ বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করে। এছাড়াও তদন্তে নেমে পুলিশ বারাসাতে আরোও ৩ টি অফিসের সন্ধান পায়।

কিন্তু সেগুলি তালাবন্ধ থাকায় পুলিশ অফিসগুলি সিল করে দিয়েছে। পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্ঠা করছে এই চক্রের সঙ্গে কারা কারা জড়িত।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version