ডিএ-আন্দোলনে সামিল হন অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রাররাও (এআর)। যদিও বহু পদ ফাঁকা থাকা নিয়ে এআর-দের দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে। নিজেদের পুরোনো দাবিতে তাঁরা আলাদা করে আজ, বুধবার কর্মবিরতির পথে হাঁটতে পারেন। সে ক্ষেত্রে হাইকোর্টের স্বাভাবিক কাজকর্ম ফের ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পেন ডাউনে মঙ্গলবার সঙ্গ দিলেন হাইকোর্টের কর্মী-অফিসাররা। চতুর্থ শ্রেণির কর্মী থেকে অফিসার- সকলের কাজ বন্ধের সিদ্ধান্তে এ দিন সকাল থেকে প্রায় অচলাবস্থা তৈরি হয়। হাইকোর্টের মূল গেট হয়ে এজলাসগুলির বন্ধ দরজার তালা খোলার জন্য পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ছুটতে হয় রেজিস্ট্রারকে।
পরে বিচারপতিরা এজলাসে বসলেও তাঁর কাছে মামলার নথি দেওয়ার লোক ছিল না। ছিলেন না মামলা ডাকার কর্মী-অফিসার। আবার শুনানি করে বিচারপতি যে রায় বলবেন, তা লিখে নেওয়ার জন্য অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার পদমর্যাদার অফিসাররাও পেন ডাউনে! ফলে অধিকাংশ এজলাসই শুরুতেই শেষ হয়ে যায়।
তবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বেশ কিছু মামলার শুনানি করে। সেখানে ওএসডি রায় লিখে নেওয়ার কাজ করেন। প্রধান বিচারপতির হাতের কাছে যাবতীয় মামলার নথি আগেই তুলে দেন তাঁর আর্দালিরা। আবার অন্য একটি বেঞ্চে শুধু জরুরি মামলা শুনানি করে বিচারপতি নিজেই রায় লিখে নেন।
এদিকে বহু পদ শূন্য থাকায় তাঁদের উপরে কাজের চাপ বাড়ছে বলে এআর-দের দীর্ঘদিনের অভিযোগ। ইন্টারভিউ হলেও এতদিনে শূন্যপদ পূরণ হয়নি। বিচার বিভাগের এখ শীর্ষ অফিসারের বক্তব্য, যদি এখনই শূন্যপদে কিছু লোক নিয়োগ না হয়, তা হলে তাঁরা আজ থেকে দিনের দ্বিতীয় দফায় পেন ডাউনের পথে যেতে পারেন। যা নিয়ে মঙ্গলবারও আধিকারিক পর্যায়ে আলোচনা হয়।