ঠিক কী ঘটেছে?
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে হাওড়া থেকে ডিব্রগড়গামী কামরূপ এক্সপ্রেসের জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে দুটি কামরার মধ্যে সংযোগকারী পিন বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। ইঞ্জিনের সঙ্গে বগির একটি পাইপ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। তা জুড়ে দেওয়ার পর দেখা যায় ইঞ্জিন এবং ডি ৩ বগির সংযোগকারী পিনটি খোলা।
এরপরেই যাত্রীসুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আর কোনও ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে তা সারানো হয়। NGP থেকে একটি বগি নিয়ে আসা হয়। পাঁচ ঘণ্টা ধরে সারানো হয় ট্রেনটি। এরপর সাড়ে ১১টা নাগাদ তা ডিব্রগড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রেলকর্মীদের তৎপরতায় বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। ট্রেনে উপস্থিত সমস্ত যাত্রীই সুরক্ষিত রয়েছে, রেল সূত্রে খবর এমনটাই। তবে এই বিলম্বের জন্য বিস্তর সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের।
এই ট্রেনের এক যাত্রী বলেন, “শুনলাম ইঞ্জিনে কিছু সমস্যা হয়েছে। আর সেই কারণেই তা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। তবে রেলের তরফে পদক্ষেপ করা হয়েছে যাতে তড়িঘড়ি তা সারিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু, একজায়গাতেই ট্রেন দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে।”
সাড়ে এগারোটা নাগাদ ট্রেনটি ছাড়ার পরেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন যাত্রীরা। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল আপ হাওড়া আমতা লোকাল। যাত্রীবোঝাই এই ট্রেনের তিনটি বগি জগৎবল্লভপুরে যাদববাটি এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে যায়। মাজু স্টেশনে প্রবেশের আগেই এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিট এই ঘটনাটি ঘটে। যাত্রীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়। সজোরে ধাক্কা খায় ট্রেনে উপস্থিত যাত্রীরা।
যদিও ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। বেলাইন হওয়া কামরাগুলিকে দ্রুত সারানো হয়। তবে এই ঘটনার জেরে সাময়িকভাবে সংশ্লিষ্ট লাইনে পরিষেবা ব্যবহ হয়। আটকে পড়া যাত্রীদের দ্রুত বার করে আনতে উদ্যোগী হয় রেল। তিনটি গাড়ি করে বার করে আনা হয় তাঁদের।