ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে সেলফিতে ধরা দিয়েছেন মদন মিত্র এবং হৈমন্তী। স্বভাবসুলভ ভঙ্গিমায় মদন মিত্রের চোখে সানগ্লাস এবং মুখে ‘মিষ্টি হাসি’। নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো হৈমন্তীর সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের একফ্রেমে থাকা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও পড়েছে আলোড়ন। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং মদন মিত্র।
ঠিক কী বলেছেন তিনি?
মদন মিত্র ‘এই সময় ডিজিটাল’-কে বলেন, “ছবিটা ভাইরাল কিনা তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কেমিস্ট্রিটা ভাইরাল নাকি সেই বিষয়টি। কে কাকে টাকা দিচ্ছে, টাকা তুলছে তা আমি কিছুই জানি না। ওকে আমি চিনিও না। কালকে আমি শুনতে পারি হৈমন্তী যুব কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারী। সব শোনা কথা তো সত্য হয় না। কিন্তু, আমি যে তৃণমূল করি তা বোঝাতে বা বলতে তো আলাদা করে কোনও কনফার্মেশন লাগে না।”
তিনি আরও বলেন, “কে গোপাল দলপতি, কে হৈমন্তী কিছু জানি না। এই মহিলাকেও চিনি না। হয়তো বিয়েবাড়িতে সেজেগুজে আসে। আমি গ্লুকোজ মনিটরিংয়ের জন্য ১৫ হাজার টাকা দিয়ে তিনটে মেশিন কিনেছিলাম। সেলফির পাল্লায় হাত থেকে তিনটে মেশিনই ছিঁড়ে গিয়েছে। আমাকে দেখলেই সেলফি তোলার হিড়িক পড়লে কী করব!”
মদন মিত্রের সংযোজন, “কেউ যদি ভালোবেসে আমার ছবি রাখে আমি কী করব! ওঁকে কখনও চোখে দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। এর নামও জানি না। এদিকে ছবি দেখে বউও ফোন করেছিল। ওকে বলেছি, ফটোটা ভাইরাল হলে তা আসল বিষয় নয়। কিন্ত, যারা এই চুরি বা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাদের সঙ্গে যদি আমার কেমিস্ট্রি ভাইরাল হয় তাহলেই আমার ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়বে। তা তো এক্ষেত্রে ঘটেনি।”
অর্থাৎ ভিড়ে আর পাঁচজনের মতো কোনও এক সময় হৈমন্তীকে না চিনেই সেলফি তুলেছিলেন তিনি, দাবি এই তৃণমূল বিধায়কের। যদিও মদন মিত্রের সঙ্গে ‘রহস্যময়ী’-র ছবি সামনে রেখে রীতিমতো সরব হয়েছেন বিরোধীরা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্য শাসক দলের ‘রাঘব বোয়াল’-রা যুক্ত, দাবি তাঁদের।