গজলডোবায় রাজঘাটের কাছে হাতির হানায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মৃত্যু ঘিরে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা রাজ্যে। ঘটনার পরই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে পেতেই জঙ্গল এলাকার পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে বিশেষ ব্যবস্থা করল বন দফতর। একদিকে গজলডোবা সংলগ্ন বৈকুন্ঠপুর জঙ্গল এলাকার আশপাশে থাকা পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছতে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে, তেমনি শিলিগুড়িতেও হাতির করিডরগুলোতে বনকর্মীদের নজরদারির মধ্যে দিয়েই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছল পরীক্ষার্থীরা।
শিলিগুড়ি মহকুমা এলাকার নকশালবাড়ি, বাগডোগরা (Bagdogra), খড়িবাড়ির (Kharibari) বিভিন্ন এলাকায় হাতির উপদ্রব লেগেই থাকে। মাঝেমধ্যেই হাতি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। যে কারণে সেখানেও বন দফতরের তরফে গাড়িতে করে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে পৌঁছনো শুরু হল।
বাগডোগরার সেন্ট্রাল ফরেস্টের কাছের গ্রামের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদেরও বন দফতরের গাড়ি জঙ্গল এলাকা থেকে প্রধান রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে নিশ্চিন্তে পড়ুয়ারা পরীক্ষা দিতে গিয়েছে। বন দফতর সূত্রে খবর, মাঝেমধ্যেই সেন্ট্রাল ফরেস্ট এলাকায় হাতি বের হয়। সেখানে জংলি বাবার মন্দিরে প্রচুর পুণ্যার্থীরা যান।
কিছুদিন আগে মন্দিরে হানা দিয়েছিল একটি হাতি। এমনকি কয়েক সপ্তাহ আগে সেন্ট্রাল ফরেস্ট এলাকায় পিকনিক চলাকালীন হাতি ঢুকে পড়ে। ওই এলাকায় হাতি রয়েছে বলে জানান বনকর্মীরা। যে কারণে গজলডোবার রাজঘাটের এলাকার ঘটনার পর আর খামতি রাখতে চাইছে বন দফতর। শুক্রবার সেখানকার গ্রামের কিছু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বন দফতরের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বন কর্মীরা বন্দুক ও হাতি তাড়ানোর নানা জিনিস সঙ্গে রেখেছিলেন। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন রোজ একইভাবে পরীক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। বাগডোগরা রেঞ্জের রেঞ্জার সমীরণ রাজ জানান, জংলি বাবার মন্দিরে আশপাশে ঘন জঙ্গল। মাঝেমধ্যেই হাতি আসে।
যে কারণে গ্রামের পরীক্ষার্থীদের আমাদের তরফে জঙ্গল এলাকা দিয়ে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হবে। মাধ্যমিক পরীক্ষা যতদিন হচ্ছে ততদিন জংলি বাবার মন্দিরের রাস্তাও সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ থাকছে। কোথাও যাতে পড়ুয়াদের হাতির ভয়ে কিংবা সমস্যায় পড়তে না হয় তা দেখা হচ্ছে।