গতকাল শুক্রবার সকালে বিষয়টি নজরে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পতিরাম থানার পুলিশ। পরে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে (Balurghat District Hospital) পাঠায়। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পতিরাম থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গীতা দাসের স্বামী কালাচাঁদ দাস অনেক দিন আগেই গত হয়েছেন। ছেলে, পুত্রবধূ নিয়ে সংসার৷ পরিবারের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল নয়। এদিকে প্রায় ১২ বছর আগে শরীরে ব্যথা অনুভূত হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরেই চিকিৎসা করান বালুরঘাটে। তবে ব্যথা সারেনি।
যত দিন গিয়েছে ততই ব্যথা যন্ত্রণা বেড়েছে। ব্যথা যন্ত্রণার জন্য ঘুমোতেও পারতেন না ঠিক করে ওই বৃদ্ধা। জেলা থেকে বাইরে গিয়ে একাধিক জায়গায় চিকিৎসা করিয়েও লাভ হয়নি কোনও৷ এমনকি ঘুমের ওষুধও খেয়েছেন।
সেই ওষুধেও হয়নি কোন কাজ৷ শারীরিক অসুস্থতার কারণে এর আগেও দু-দুবার ব্যথা বেদনা থেকে নিস্তার পেতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তাতে তিনি সফল হননি। এদিকে চিকিৎসা করানোর মত অর্থও দিন দিন ফুরিয়ে যাচ্ছিল।
অবশেষে শুক্রবার ভোরে সকলে যখন ঘুমিয়ে, সেই সময়ে বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন গীতাদেবী৷ এদিকে বিষয়টি নজরে আসতেই খবর দেওয়া হয় পতিরাম থানাতে। পরে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
এই বিষয়ে মৃতার আত্মীয় পঙ্কজ কুমার চৌধুরী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে তিনি ব্যথায় ভুগছেন। সারা শরীরে ব্যথা জ্বালা যন্ত্রণার জন্য ঠিক করে ঘুমাতেও পারতেন না। রোজ রাতের পর রাত জেগে থাকতেন। অনেক জায়গায় চিকিৎসা করিয়েও কোনও লাভ হয়নি। কমেনি ব্যথা। এর আগেও এই জ্বালা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
অবশেষে এদিন ভোরে বাড়িতেই তিনি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন”। অন্যদিকে পতিরাম থানার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে তাঁরা খোঁজ খবর করছে। মৃতার আত্মীয় পাড়া প্রতিবেশী সকলের সঙ্গেই কথা বলছে পুলিশ। তিনি কোথায় কোথায় চিকিৎসা করিয়েছেন, সেই বিষয়েও তদন্ত চালানো হচ্ছে।