জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে ঠাকুমা করবী বৈদ্য তাঁর নাতি অর্ঘ্যদীপকে নিয়ে ১১৭ নং জাতীয় সড়কে রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। সেই সময় কাকদ্বীপগামী দুটি প্রাইভেট গাড়ি বেপরোয়াভাবে নিজেদের মধ্যে রেষারেষি করে আসছিল। গোপালনগর মোড়ের কাছে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে করবী বৈদ্য ও অর্ঘ্যদীপকে। ধাক্কা লেগে কিছুদূরে ছিটকে পড়ে দু’জন। দুর্ঘটনা দেখে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা আহত দু’জনকে উদ্ধার করে কুলপি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকেরা দু’জনকেই মৃত বলে জানায়। অন্যদিকে, ঘটনায় ঘাতক গাড়িটিকে আটক করেছে কুলপি থানার পুলিশ। মৃতদেহ ২ টি উদ্ধার করে ডায়মন্ডহারবার পুলিশ (Diamond Harbour Police) মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। গাড়ির রেষারেষির কারণেই এরকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বলে জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “ওরা রোজই এখানে হাঁটাচলা করে। এদিনকেও নাতিকে নিয়ে উনি হেঁটে আসছিলেন। দুটি বেপরোয়া গাড়ি এসে মেরে দিল। আমার স্বামী গিয়ে মুখে জল দেওয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু কোনও সাড়া ছিল না শরীরে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানায়।”
মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় ঠাকুমা ও নাতির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। পাশাপাশি ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কুলপি থানার পুলিশ। মন্দিরবাজার SDPO বিশ্বজিৎ নস্কর জানান, ঘাতক গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। গোপালনগর মোড় ১১৭ নং জাতীয় সড়কের দু’ধারেই প্রচুর জনবসতি রয়েছে।
জাতীয় সড়ক দিয়ে নিত্যদিনই কয়েক হাজার গাড়ি যাতায়াত করে। তার মধ্যে বেশ কিছু গাড়ি বেপরোয়াভাবে যাতায়াত করে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যানবাহন যাতায়াতে পুলিশের কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে আর্জি স্থানীয়দের।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বর মাসেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার উস্থি থানার (Usthi Police Station) তেঁতুলতলা এলাকায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত হন সাত ছাত্র-ছাত্রী সহ টোটো চালক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে উস্তি থানার পুলিশ। ঘাতক গাড়ির চালককে আটক করেছে উস্তি থানার পুলিশ।