মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) নিয়ে এবার বড় নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতির সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। তাঁর বিরুদ্ধে সঠিকভাবে OMR শিট জমা না দেওয়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক চাকরিপ্রার্থী। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শাস্তিস্বরূপ মানিক ভট্টাচার্যকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল আদালত।

Manik Bhattacharya Son : নজরে মানিক পুত্রর লন্ডন সফর, রহস্য উদঘাটনে বিদেশ মন্ত্রকের সাহায্য নিচ্ছে ED
কিন্তু, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই জরিমানার টাকা জমা করেননি প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। আর তাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবার তাঁর সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিলেন। জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্ট মানিকের এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবে। তবে এ ক্ষেত্রে বিচারপতি এও জানিয়েছেন, যদি মানিক ভট্টাচার্য তাঁর জরিমানার পাঁচ লাখ টাকা ফেরত দিয়ে দেন, তবে বাজেয়াপ্ত করার সম্পত্তি তাঁকে পুনরায় ফেরত দেওয়া হবে। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এ বিষয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে অবগত করবেন বলেও জানা গিয়েছে হাইকোর্ট সূত্রে।

Manik Bhattacharya Son Wife : আদালতেই গ্রেফতার মানিকের স্ত্রী-পুত্র, এবার জেলে মানিক অ্যান্ড ফ্যামিলি
গত ২২ফেব্রুয়ারি ব্যাঙ্কশাল আদালতে গ্রেফতার করা হয় মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী এবং পুত্রকে। প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য এবং তাঁর ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যকে ওইদিন প্রথমে আদালতে তোলা হয়। তারপর তাঁদের জামিনের আর্জি জানান আইনজীবী। অপরদিকে, একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন ED-র আইনজীবী। শেষ পর্যন্ত বিচারক শতরূপা এবং শৌভিকের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন। ফলে আত্মসমর্পণের পর আদালতেই গ্রেফতার করা হয় মানিক পুত্র এবং স্ত্রীকে। আগামী ৬ মার্চ পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মানিক পত্নী ও তাঁর ছেলেকে। প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানো হয়েছে শৌভিক ভট্টাচার্যকে। আলিপুর মহিলা সংশোধানাগারে পাঠানো হয়েছে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যকে।

Group D Recruitment Scam : চাকরি রক্ষায় মরিয়া! এবার সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘সর্বহারা’ গ্রুপ ডি কর্মীরা
এদিকে, মানিক ভট্টাচার্যের পুত্র শৌভিককে নিয়ে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে ED। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, শৌভিক ভট্টাচার্য একাধিকবার লন্ডন যাত্রা করেছেন। অথচ ২০১৭ সালের মে এবং জুলাই মাসে তাঁর দু’বার লন্ডন যাত্রার তথ্য গোপন করে গিয়েছেন। এই বিষয়ে বিশদে জানতে বিদেশ মন্ত্রকের সাহায্য নিচ্ছে ED। অভিবাসন দফতরের সাহায্যে শৌভিক ভট্টাচার্যের এই বিদেশ যাত্রার তথ্য যাচাইয়ের চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীও নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের বেআইনি লেনদেন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন বলে দাবি ED-র।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version