কী বক্তব্য CPIM-এর?
সিভিক ভলান্টিয়ারদের পদোন্নতি নিয়ে এই সময় ডিজিটালকে CPIM নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কোনও কাজ স্বচ্ছতা এবং সততার সঙ্গে করবে তা কেউ বিশ্বাস করে না। সিভিক পুলিশকে কনস্টেবল করবেন বলছেন! কী ভাবে করবেন? সিভিক পুলিশকে তো এখন পুলিশের বদলে ভলান্টিয়ার করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ হয় না কি কখনও?”
সুজন চক্রবর্তী আরও বলেন, “নিজের কাছের লোক, পছন্দের লোকের পদোন্নতি করবেন? বাকিরা কি বানের জলে ভেসে এসেছে? এসব কিছুই করতে পারবেন না। অযথা লোককে ক্ষ্যাপাচ্ছেন। এদের কি কোনও অ্যাপয়ন্টমেন্ট লেটার দিয়েছেন? এদের কি DA বাড়ছে? এদের কি ESI আছে? এই সব মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দলের লোককে খুশি করার জন্য ভাবছেন।”
কী মন্তব্য BJP-র?
সিভিক ভলান্টিয়ারদের এই প্রমোশন প্রস্তাব প্রসঙ্গে BJP নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “আসল কথা হচ্ছে, পুলিশ কর্মচারিই দায়িত্ব মেনে কাজ করতে চান। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা ইঙ্গিত করেছেন, তা দায়িত্ব মেনে কাজ করা নয়। দলদাসে যারা পরিণত হবেন, তৃণমূলে স্বার্থে যারা কাজ করবেন, তাঁদেরই পঞ্চায়েত ভোটের আগে পদোন্নতির বার্তা দিচ্ছেন। যাতে ভোটে তাঁরা তৃণমূলের সুবোধ বালক হিসেবে, ক্যাডার হিসেবে কাজ করতে পারে, তারই আগাম প্রস্তুতি মুখ্যমন্ত্রীর কথায় বোঝা যাচ্ছে।”
নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সিভিক ভলান্টিয়ারদের পদোন্নতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র দফতরকে বিশেষ নির্দেশ দেন বলে খবর। এই নিয়ে পরিবর্তিত নীতিও আনা হতে পারে। সোমবার বিভিন্ন দফতরের সচিবদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই এই প্রস্তাব নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হয়েছে বলে সূত্র মারফত খবর। বাংলায় কয়েক হাজার যুবক বর্তমানে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত। তবে কারা এই পদোন্নতির জন্য বিবেচ্য হবে তা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করবে স্বরাষ্ট্রদফতর। সেই রিপোর্টের উপরই নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত।