করোনাভাইরাসের (Coronavirus) ক্ষত এখনও মানুষের মনে তাজা। তার মধ্যে রাজ্যে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে অ্যাডিনোভাইরাস (Adenovirus)। নতুন এই ভাইরাসের থাবার একাধিক শিশুর মৃত্যু উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবার একগুচ্ছ অ্যাডভাইসরি জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে ১০ দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

Adenovirus : মেদিনীপুরে হাসপাতালগুলিতে বাড়ছে অ্যাডিনোয় আক্রান্তের সংখ্যা, উদ্বেগে স্বাস্থ্য দফতর

স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকা

অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন (Acute Respiratory Infection) অর্থাৎ শ্বাসকষ্টজনিত সংক্রমণের মোকাবিলা করতে নিম্নলিখিত নির্দেশিকাগুলি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।

> প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ, জেলা হাসপাতাল, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, সাব ডিভিশনাল হাসপাতাল এবং স্টেট জেনারেল হাসপাতালে শিশুদের জন্য অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন ওয়ার্ড (ARI Ward) চালু করতে হবে। ২৪ ঘণ্টাই এই ARI ওয়ার্ড চালু রাখতে হবে।

> OPD-তে যাতে কোনওভাবেই ভিড় না জমা তার জন্য পৃথকভাবে ARI ওয়ার্ড রাখতে হবে প্রতিটি হাসপাতালে। এ ছাড়াও প্রতিটি হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ থাকবেন ২৪ ঘণ্টা।

Adenovirus Infection : আরও দুই শিশুর মৃত্যু, চিন্তা বাড়ছে অ্যডিনোয়
> হাসপাতালের সুপারকে না জানিয়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকা কোনও শিশুকে অন্যত্র রেফার করা যাবে না।

> জরুরিভিত্তিতে ভেন্টিলেটার রাখতে হবে সমস্ত হাসপাতালগুলিতে।

> একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। 1800-313444-222 নম্বরটি ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকবে।

> ভিড়ভাট্টা, জমায়েত থেকে শিশুদের আইসোলেট করে থাকতে হবে। মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক।

স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকা
Adenovirus : অ্যাডিনো আতঙ্কের মধ্যে ফের ৩ শিশুর মৃত্যু শহরে, বাড়ছে উদ্বেগ
> আশাকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মীদের অ্যালার্ট করা হচ্ছে।

> শিশুদের জন্য হাসপাতালে তৈরি ARI ইউনিটে বিশেষ ট্রেনিংপ্রাপ্তদেরই থাকার নির্দেশ

Adenovirus : শহরে অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত ২ শিশুর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক
> ডা. বিসি রায় পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ পেডিয়াট্রিক সায়েন্সেস, ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাকাল, বাঁকুড়া সম্মেলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে এই ARI অসুখের ক্ষেত্রে মেন্টর হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

> বেসরাকারি হাসপাতাল এবং শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদেরও অ্যালার্ট করা হচ্ছে।

এদিকে, গত তিনদিনে কলকাতা শহরে ১০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে মঙ্গলবার সকালেই মৃত্যু হয়েছে তিন শিশুর। এর মধ্যে দু’জন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে ভর্তি ছিল। অপরজন ভর্তি ছিল বিসি রায় শিশু হাসপাতালে। যদিও তাদের শরীরে অ্যাডিনোভাইরাস আদৌ থাবা বসিয়েছিল কি না, তা এখনও জানা যায়নি। সোমবার দুই শিশুর মৃত্যু হয় বিসি রায় শিশু হাসপাতালে। সংখ্যাটা গত তিনদিনে ১০ জন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version