স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিশেষ করে গোঘাটের মান্দারন ও কাঁটালি এলাকায় এই পোস্ত চাষ করতে দেখা যাচ্ছে। তিন মাস ধরে পোস্ত চাষ হলেও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এলাকায় সাংবাদিকরা গেলেই পোস্ত চাষিরা লুকিয়ে পড়ছেন আবার সাংবাদিকরা এলাকা থেকে চলে এলেই নাকি পোস্ত গাছ এবং পোস্ত গাছের ফল দ্রুত তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, বিঘা প্রতি পোস্ত চাষ থেকে তৈরি হচ্ছে ২ থেকে ৩ কেজি করে আফিম। প্রতি কেজি আফিম বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার টাকারও বেশি দামে। কিন্তু অবৈধ পোস্ত কারবারীদের বিরুদ্ধে নালিশ জানানোরও সাহস নেই কারোর। চাষিদের মতে, এক বিঘা জমি থেকে পোস্তর আঠা সংগ্রহ করে ২ থেকে আড়াই কেজি মতো আফিম তৈরি হয়। যার বাজার মূল্য কেজি প্রতি ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা। পোস্তর আঠা বের করে নেওয়ার পর যে ফলটি পড়ে থাকে, তার ভেতর থেকে তৈরি হয় খাবারের পোস্ত।
সব জেনেও কী নির্বিকার প্রশাসন। উঠছে প্রশ্ন? পোস্তু চাষ আদতে বেআইনি। লক্ষাধিক টাকা জরিমানা থেকে শুরু করে প্রায় কুড়ি বছরের জেল পর্যন্ত হতে পারে। কড়া আইন থাকলেও তাকে উপেক্ষা করেই বিঘার পর বিঘা জমিতে চলছে পোস্ত চাষ। প্রশাসনের তরফে পোস্ত চাষের বিরুদ্ধে প্রচার এবং আবগারি দফতর মাঝে মধ্যে অভিযান চালালেও সুরাহা হয়নি।
জমির মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্যই প্রতিবছর পোস্তু চাষের রমরমা গোঘাটে বলে। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় মানুষেরও। যদিও গোঘাট দুই নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনিমা কাটারী বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ” এই ধরনের খবর আমাকে কেউ দেয়নি। সংবাদ মাধ্যমের কাছেই শুনলাম। যদি কেউ এরকম করে থাকে, আমরা ব্যবস্থা নেব।”