অশোকনগরে খনিজ তেলের সন্ধান মেলায় জেলার সম্ভাব্য জায়গায় চলছে সন্ধান। ইতিমধ্যেই ওএনজিসি (ONGC) অশোকনগরে (Ashoknagar) তৈরি করেছে তৈল উত্তোলন কেন্দ্র। ONGC-র তরফ থেকে তাই জেলার নানা প্রান্তে চালানো হচ্ছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। জেলার আরও নানা প্রান্তে খনিজ তেল থাকার সম্ভাবনা তৈরি হতেই খোঁজ চালাচ্ছে ওএনজিসি। তবে খনিজ তেলের সন্ধান চালাতে গিয়ে ফাটল ধরেছে বিভিন্ন বাড়িতে, ফলে আতঙ্কে স্থানীয়রা।
গাইঘাটা বিধানসভার অন্তর্গত জামদানি এলাকায় ওএনজিসির পক্ষ থেকে অত্যাধুনিক প্রক্রিয়ায় খনিজ তেলের খোঁজ চালানো হচ্ছে। তারের মাধ্যমে দূর দূরান্তে পাতা হয়েছে ডিনামাইট। সেই বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে উঠছে গোটা এলাকা। কম্পনের ফলেই ফাটল ধরছে এলাকার বাড়ি গুলিতে। তাতেই মাথায় হাত পড়েছে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দাদের।
এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর জন্য এলাকার নানা প্রান্তে বিভিন্ন রঙের তার ফেলে, নানাভাবে চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় খনিজ তেল রয়েছে বলেই অনুমান করা হয়েছে ওএনজিসি’র তরফ থেকে। তেলের সন্ধান মিললে বদলাবে ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক অবস্থাও। তাই অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের মধ্যে উৎসাহ লক্ষ্য করা গেলেও, নিজেদের বাসস্থানে ফাটল ধরতেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত এলাকাবাসীরা। যেসব জায়গায় এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা চলছে সেখানে বেশ কিছু বাড়িতে এমনই ফাটল লক্ষ্য করা গিয়েছে। কষ্টের টাকায় তৈরি মাথার ছাদ ভেঙে পড়লে কে দেবে ক্ষতিপূরণ! সেই ভেবে উড়েছে রাতের ঘুম। কার কাছে জানালে সমস্যার সমাধান মিলবে তাও বুঝে উঠতে পারছেন না এলাকাবাসীরা।
প্রসঙ্গত, খনিজ তেলের খোঁজ পাওয়ার পর অশোকনগরের বাইগাছি এলাকা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে ভুরকুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের দৌলতপুর এলাকায় ১৫ বিঘা জমির উপর তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনের কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।