প্রায় ১৫ লাখ টাকায় এই হাতির দাঁতটি বিক্রির ছক ছিল পাচারকারীদের বলে জানিয়েছেন বন কর্মীরা। আজ ধৃতকে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হবে বন দফতরের তরফে। জলপাইগুড়ি বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের বনকর্মীরা গোপন সূত্রে খবর পায় হাতির দাঁত পাচার হওয়ার ব্যাপারে।
আসাম থেকে একটি হাতির দাঁত আলিপুরদুয়ার হয়ে শিলিগুড়িতে নিয়ে আসা হচ্ছে বিক্রির উদ্যেশ্যে৷ খবরের ভিত্তিতে রেঞ্জার সঞয় দত্ত নিজেই ছদ্মবেশে ক্রেতা সেজে সেই পাচারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। ঠিক হয় শিলিগুড়ি তিনবাত্তি মোড়ে হাতির দাঁতটি নিয়ে আসবে পাচারকারী।
মোট ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে তিন ফিট লম্বা ও তিন কেজি ওজনের এই হাতির দাঁতটি বিক্রি করা হবে বলেও জানায় পাচারকারী। এর পরেই তিনবাত্তি মোড়ে সেই পাচারকারী একটি সিমেন্টের বস্তায় হাতির দাঁতটি নিয়ে বাস থেকে নামতেই তাকে ঘিরে ধরে বনকর্মীরা। গ্রেফতার করা হয় মনিকান্ত গোয়ালা নামে ওই পাচারকারীকে।
জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি আলিপুরদুয়ারে জংশনের বাসিন্দা। আজ ধৃতকে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হবে। ধৃত ব্যক্তি কোথা থেকে ওই হাতির দাঁত জোগাড় করলেন, এই চক্রের পিছনে আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা সেই সমস্ত বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে বন দফতরের পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। বন আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বিদেশে পূর্ণ বয়স্ক হাতির দাঁতের যথেষ্ট দাম পাওয়া যায়। লাখ, লাখ টাকা মুনাফার লোভেই এই পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন অনেকে।
মূলত নেপাল, ভুটান সীমান্ত দিয়ে হাতির দাঁত পাচার হয়ে যায় বিদেশে। এর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে বন বিভাগ। প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়ি সহ তৎসংলগ্ন ডুয়ার্স অঞ্চলে বেশ কিছুদিন ধরেই হাতির দাঁত পাচার চক্রের রমরমা দেখা গিয়েছে।
রয়েছে অন্যান্য প্রাণীর অঙ্গের পাচার চক্রও। গত বছর জলপাইগুড়ি জেলা থেকে আরও তিনজন হাতির দাঁত পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২ কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের দুটি হাতির দাঁত সহ গ্রেফতার করা হল তিনজনকে। বন দফতর সূত্রে জানা যায় যে আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই দাঁত।