উল্লেখ্য, ১৯৬০ সাল নাগাদ কৃত্তিবাস ওঝাকে স্মরণীয় করে রাখার উদ্যোগে এখানে কৃত্তিবাস মেমোরিয়াল ইউনিটি হল তৈরি করে রাজ্য সরকার। বর্তমানে কর্মী সংকটে ধুকছে কৃত্তিবাস ওঝা নামকৃত এই গ্রন্থাগার। ১৯৬৪ সালে তৈরি হয় নতুন ভবন।
১৯৬৭ সালে এই গ্রন্থাগার খুলে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষের জন্য। এই গ্রন্থাগারে রয়েছে ১৪টি ভাষায় অনুবাদ হওয়া রামায়ণের সম্ভার। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই নেই কোনও স্থায়ী গ্রন্থাগারিক ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী।
যার ফলে পর্যটকদের পাশাপাশি বিভিন্ন গবেষক থেকে শুরু করে স্কুল পড়ুয়াদের এসে ফিরে যেতে হচ্ছে হতাশায়। এদিন জানা যায় অন্য গ্রন্থাগারের দুজন কর্মীকে আপাতত অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা নিজেদের সেই গ্রন্থাগারের দায়িত্ব সামলান।
পাশাপাশি সপ্তাহের কয়েকটি নির্দিষ্ট দিনে এই গ্রন্থাগার তথ্য সংগ্রহশালাতে এসে কাজ সামলান। যার ফলে তৈরি হয়েছে সমস্যা। যদিও জানা যায় এই বিষয়ে আলোচনা চলছে।
এদিন পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়ে আসা এক শিক্ষিকা বলেন, “অনেক আশা নিয়ে পড়ুয়ারা আজ এখানে এসেছিল। কিন্তু এসে যে এখানে ঢুকতেই পারবে না কেউ, তা আমাদেরও জানা ছিল না। স্বভাবতই সকলেই হতাশ হয়েছি। এটি একটি শিক্ষামূলক ভ্রমন ছিল। তাই গ্রন্থাগারে ঢোকা দরকার ছিল।”
এই পড়ুয়া এই বিষয়ে নিজের অভিমত প্রকাশ করে জানায়, “গ্রন্থাগারে ঢুকতে পারব বলেই এসেছিলাম। অনেক বই দেখা যেত, পড়া যেত। অনেক তথ্যও নিয়ে যাওয়া যেত এখান থেকে।”
এই গ্রন্থাগার বন্ধ থাকার বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “আমরা এই গ্রন্থাগার প্রায়ই বন্ধ থাকতে দেখি। শুনেছি সপ্তাহে দু’দিন নাকি এক দুজন কর্মচারী এসে খোলেন। কিন্তু তা শোনা কথাই। মাঝে মধ্যে খুলতে দেখি। কিন্তু বেশিরভাগ সময় বন্ধ হয়েই পড়ে থাকে।”
স্থায়ী গ্রন্থাগার নিয়োগের ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন সংশ্লিষ্ট দফতর। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটক সকলেই চাইছেন কৃত্তিবাস ওঝার নামাঙ্কিত গ্রন্থাগার, সংগ্রহশালায় দ্রুত স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হোক। এখন দেখার কবে মেটে এই সমস্যা। সে দিকেই তাকিয়ে সকলেই।