অপরের খাতায় উঁকি দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাতে খুুব একটা লাভবান হয়নি তারা। কারণ সেই সময় নাকি শিয়রেই ছিলেন শিক্ষিকা। ‘গার্ড একটুও লুস করল না’, অঙ্ক পরীক্ষা দিয়ে ছাত্রীদের কণ্ঠে এই ধরনের মন্তব্যে রীতিমতো চমকে উঠেছিলেন অনেকেই।
তাদের মধ্যে কিছু ছাত্রী নিউ ব্যারাকপুর কলোনি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। তাঁদের স্কুলে মাধ্যমিক টেস্ট পরীক্ষাতে কড়া গার্ড দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে কেন ছাত্রীরা এই আবেদন করল? তা ঠাহর করতে পারছেন না তিনিও।
এদিকে এই বিতর্কে মুখে কুলুপ মাসুন্দা বালিকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। ঘটনা প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে আলাদা করে কিছু বলব না। মাধ্যমিক পরীক্ষার পর অনেকদিন কেটে গিয়েছে। এই নিয়ে কিছু বলার নেই।”
ঠিক কী বলেছিলেন ছাত্রীরা?
ওই ভিডিয়োতে দেখা যায় ছাত্রীরা বলছেন, “অঙ্ক প্রশ্ন অনেক কঠিন হয়েছিল। যখন দেখছে এত কঠিন প্রশ্ন সেই সময় একটুও গার্ড লুস করল না।” অপর এক ছাত্রী বলে, “আমি একজনের সঙ্গে একটু কথা বলব সেই সুযোগও দেয়নি।”
কিন্তু, পরীক্ষা চলাকালীন কথা চালাচালির সুযোগ দেওয়া হবে, এই প্রত্যাশাই বা কেন ছিল পড়ুয়াদের মধ্যে? তা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। পাশাপাশি পড়ুয়াদের এই প্রত্যাশা কি আগামী দিনে তাদের জন্যই বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে? এই নিয়েও চলছিল চুলচেরা বিশ্লেষণ।
বিষয়টি নিয়ে নিউ ব্যারাকপুর কলোনি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মনিকা ঘোষ বলেছিলেন, “ওরা কেন এই কথা বলল তা বুঝতে পারিনি। ঘটনাটি অত্যন্ত লজ্জার।” পরবর্তী ব্যাচের পড়ুয়াদের বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করা হবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। একইসঙ্গে লকডাউনের সময় অনলাইন পঠনপাঠনের একটি বড় প্রভাব পড়তে পারে এই অপরিনত কিশোরীদের মনে, মনে করছেন মনোবিদদের একাংশ।