অঙ্ক নিয়েই যত গোল! মাধ্যমিকে অঙ্ক পরীক্ষা দিয়ে বার হওয়ার পর হলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন কিছু ছাত্রী। দৃশ্যটি নিউ ব্যারাকপুরের মাসুন্দা বালিকা বিদ্যালয়ের। একটি ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যায় কিছু ছাত্রী অনুযোগ করছে, তাদের পরীক্ষা চলাকালীন ঘাড় ঘোরাতে দেওয়া হচ্ছে না একেবারেই।

অপরের খাতায় উঁকি দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাতে খুুব একটা লাভবান হয়নি তারা। কারণ সেই সময় নাকি শিয়রেই ছিলেন শিক্ষিকা। ‘গার্ড একটুও লুস করল না’, অঙ্ক পরীক্ষা দিয়ে ছাত্রীদের কণ্ঠে এই ধরনের মন্তব্যে রীতিমতো চমকে উঠেছিলেন অনেকেই।

Madhyamik Math Question 2023 : ‘পিছন ঘুরে দেখতেই দিল না, বাজে গার্ড!’ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের আজব দাবিতে ‘লজ্জিত’ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা
তাদের মধ্যে কিছু ছাত্রী নিউ ব্যারাকপুর কলোনি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। তাঁদের স্কুলে মাধ্যমিক টেস্ট পরীক্ষাতে কড়া গার্ড দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে কেন ছাত্রীরা এই আবেদন করল? তা ঠাহর করতে পারছেন না তিনিও।

এদিকে এই বিতর্কে মুখে কুলুপ মাসুন্দা বালিকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। ঘটনা প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে আলাদা করে কিছু বলব না। মাধ্যমিক পরীক্ষার পর অনেকদিন কেটে গিয়েছে। এই নিয়ে কিছু বলার নেই।”

Madhyamik Exam: ‘অঙ্ক পরীক্ষায় প্রশ্ন কঠিন’, ফেলের আশঙ্কায় কান্নায় গড়াগড়ি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের
ঠিক কী বলেছিলেন ছাত্রীরা?
ওই ভিডিয়োতে দেখা যায় ছাত্রীরা বলছেন, “অঙ্ক প্রশ্ন অনেক কঠিন হয়েছিল। যখন দেখছে এত কঠিন প্রশ্ন সেই সময় একটুও গার্ড লুস করল না।” অপর এক ছাত্রী বলে, “আমি একজনের সঙ্গে একটু কথা বলব সেই সুযোগও দেয়নি।”

কিন্তু, পরীক্ষা চলাকালীন কথা চালাচালির সুযোগ দেওয়া হবে, এই প্রত্যাশাই বা কেন ছিল পড়ুয়াদের মধ্যে? তা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। পাশাপাশি পড়ুয়াদের এই প্রত্যাশা কি আগামী দিনে তাদের জন্যই বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে? এই নিয়েও চলছিল চুলচেরা বিশ্লেষণ।

Mamata Banerjee Madhyamik Exam : ইতিহাস পরীক্ষার আগে ‘প্রিয় দিদির’ আশীর্বাদ, আপ্লুত ছাত্রীরা
বিষয়টি নিয়ে নিউ ব্যারাকপুর কলোনি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মনিকা ঘোষ বলেছিলেন, “ওরা কেন এই কথা বলল তা বুঝতে পারিনি। ঘটনাটি অত্যন্ত লজ্জার।” পরবর্তী ব্যাচের পড়ুয়াদের বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করা হবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। একইসঙ্গে লকডাউনের সময় অনলাইন পঠনপাঠনের একটি বড় প্রভাব পড়তে পারে এই অপরিনত কিশোরীদের মনে, মনে করছেন মনোবিদদের একাংশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version