West Bengal News : ফের কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি রাজ্যের। এবার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রসূতি বিভাগে রাজ্যে প্রথম হল টাকি গ্রামীণ হাসপাতাল। ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স (NQS) সমীক্ষা অনুযায়ী এই হাসপাতালের প্রাপ্ত নম্বর ৯৩.৯ শতাংশ। কয়েক মাস আগে কেন্দ্রের একটি উচ্চ পর্যায়ের পরিদর্শক দল আসে এই হাসপাতালে।

দুদিন ধরে খুঁটিয়ে দেখা হয় হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের পরিষেবা ব্যবস্থা এবং পরিকাঠামো। স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী, পরিবারের লোকজন, চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলা হয়। পরিদর্শক দলের রিপোর্টের ভিত্তিতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার অন্তর্গত টাকি গ্রামীণ হাসপাতাল স্বীকৃতি ছিনিয়ে আনে।

Hooghly News: ‘আউটডোরে না গিয়ে কেন জরুরি বিভাগে?’ রোগীকে পরীক্ষা না করেই হেনস্থার অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে
বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল বিশ্বাস বলেন, “যেভাবে করোনা মহামারি কালে চিকিৎসকরা মানুষের পরিষেবা দিয়ে গিয়েছে, পাশাপাশি প্রসূতি বিভাগে ৯০% সঠিক কাজ করেছে। কেন্দ্রের নিয়ম অনুয়ায়ী প্রকল্পে পাশ করেছে। পাশাপাশি শল্য চিকিৎসা ৮৭ শতাংশ কাজ করেছে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা।”

জানানো হয়, টাকি গ্রামীণ হাসপাতাল প্রসূতি বিভাগে ৯০ শতাংশ কাজ হয়েছে। তাতে একদিকে মা ও শিশুর মৃত্যুর হার কমেছে। সে কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর থেকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

Kamarpukur Rural Hospital : চিকিৎসা করাতে এসে হেনস্থার মুখে শিক্ষক, উত্তেজনা কামারপুকুর গ্রামীন হাসপাতালে
বসিরহাটের দক্ষিণের চিকিৎসক বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যেভাবে চিকিৎসকরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন, গ্রামগঞ্জে শহরে তারই ফল আজকে এই স্বীকৃতি। বিরোধীরা যতই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলুক না কেন খোদ কেন্দ্রের স্বাস্থ্য দফতর বাংলাকে সার্টিফিকেট দিচ্ছে। তারাই ভাবুক যারা স্বাস্থ্য দফতর চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।”

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে NQAS চালু করা হয় গোটা দেশ জুড়ে। উদ্দেশ্য ছিল দেশের সরকারি হাসপাতালে রোগী পরিষেবার আরও উন্নতিসাধন করা। এ রাজ্যের বিভিন্ন স্তরের হাসপাতালগুলি ২০১৭ সাল থেকে NQAS-এ যোগ দিতে শুরু করে।

গত পাঁচ বছরে এ রাজ্যের একাধিক হাসপাতাল এই মূল্যায়নে অংশগ্রহণ করেছিল। তার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি ছিনিয়ে এনেছে টাকি গ্রামীণ হাসপাতাল। জানা গিয়েছে, টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে বর্তমানে ৫০টি বেড আছে।

Purba Medinipur News : বাড়ির কাছেই মিলছে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা, খুশি পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দারা
NQAS-র শংসাপত্র পাওয়ায় তিন বছরের জন্য হাসপাতালের বেড-পিছু ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান মিলবে কেন্দ্র থেকে বলে খবর। তিন বছরের মধ্যে আবারও যে কোনও সময়ে কেন্দ্র থেকে পরিদর্শক দল আসতে পারে। পরিষেবা যাতে আরও উন্নততর করা যায়, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version