বছরখানেক আগে বিয়ে হয়েছিল ওই যুবকের। নাদনঘাটে রেশনের মাল খালাস করার কাজ করেন স্বামী। প্রথম পক্ষের স্ত্রী ছেড়ে চলে যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। বলেন, ‘স্ত্রীর ১০-১২টা সিম কার্ড রয়েছে। তা থেকে অন্য কাউকে ফোন করে বলত, আমাকে তোমার কেমন লাগে, আমাকে নিলে কী রকম দেবে, এই সব। বারণ করলে বলত, যে কোনও সময় মার্ডার করে দিয়ে চলে যাব।’
স্ত্রী এর আগেও বিয়ে করেছেন দাবি করে স্বামী বলেন, ‘বউ বলত, আমি অনেককে ফাঁসিয়েছি। তোমার তো কিছুই দেখছি না। জায়গাটা দিয়ে দাও। চলে যাব। বুধবার সন্ধ্যায় আমার চোখে অ্যাসিড জাতীয় কিছু ছুড়ে দেয়। বলে, তোকে আজ কুপিয়ে দেব। আমার চোখে তীব্র জ্বালা করতে শুরু করলে আমি চিৎকার করে উঠি। তাতে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে প্রাণে বাঁচি।
পাশেই আমার পিসির বাড়ি। সেখানে কোনওরকমে ছুটে গিয়ে বলি, পানি দাও। চোখে শুধু পানি দিতে থাকি।’ তাঁর চোখে শুধু জ্বালা করছে। চোখ খুলে রাখতে পারছেন না জানিয়ে বলেন, ‘এখন চোখে ঝাপসা দেখছি। চিকিৎসক বলেছেন, ওষুধ দিয়েছি। ধীরে ধীরে কমবে।’ নাদনঘাট থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে স্ত্রী দাবি করেছেন, স্বামী তাঁকে দুপুরে একবার মারধর করেছে। তার পর সন্ধ্যায় ফের মারধর করতে এলে তিনি লঙ্কার গুঁড়ো মেশানো জল চোখে ছুড়ে মারেন। তদন্ত শুরু করে পুলিশ ওই তরলের চরিত্র বোঝার চেষ্টা করছে।