সাংসদ বলেন, “এখন যে সমস্ত স্কুল আমরা দেখছি, বা যে মানের স্কুল আপনারা দেখছেন, আমি এর থেকেও যথেষ্ট নিম্নমানের স্কুলে পড়াশোনা করেছি। যখনই কোনও স্কুলে যাই সেখানে গিয়ে আমার নিজের বাল্যকালের কথা, স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে যায়। আর কোনও স্কুলে গিয়ে পড়ুয়া, শিক্ষক শিক্ষিকাদের কষ্ট দেখলে আরও বেশি করে মনে পড়ে। কারন আমাদের সময় সবাইকে কষ্টের মধ্যেই কাটাতে হত। এরকম মানের স্কুল ছিল না”।
তিনি আরও বলেন, “এখনকার দিনে যদি কোনও শিক্ষক কোনও পড়ুয়ার সামান্য কান মুলে দেন, তাহলে কত কি হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের সময় পুরো ভিন্ন ছিল। শিক্ষকদের হাতে সবসময় একটি বেত থাকত পড়ুয়াদের শাসন করার জন্য”। এদিন তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, সাংসদ হওয়ার পরে তিনি কলকাতার রাস্তার একবার তার বিদ্যালয়ের শিক্ষকের দেখা পান।
সেখানে তার শিক্ষককে প্রণাম করে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন সাংসদ। সেই কথা বলতে গিয়ে আবেগে কেঁদে ফেলেন তিনি। এদিন বিদ্যালয়ের উন্নয়নের বিষয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে গাছের ছাওয়ায় বসে আলোচনাও করেন সাংসদ আলুওয়ালিয়া। সেখানে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সাংসদের হাতে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের বিষয়ে একগুচ্ছ দাবি পত্র সাংসদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এরপর তিনি বলেন, “আজ যদি আপনারা আমাকে আপনাদের দাবিদাওয়া নিয়ে কিছু নাও জানাতেন, তাও আমি বুঝতে পারতাম। কারন আমি এখানে এসে বিদ্যালয় ভবনের খারাপ অবস্থা, এই স্কুলে আসার রাস্তাঘাট সমস্ত কিছু দেখলাম। দেখে বুঝেছি এখানে যথেষ্ট উন্নয়নের দরকার আছে”।
তিনি বলেন, যেভাবে তিনি কাঁকসার নাম জানতেন, ঠিক সেভাবেই শালডাঙ্গা গ্রামের নামও তিনি জানতেন। এই স্কুল তথা রাস্তাঘাটের উন্নতির ব্যাপারে তিনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন BJP সাংসদ। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামে এই স্কুল, অথচ এতদিন কেউই এই স্কুল তথা এলাকার উন্নতির জন্য কোনও কাজ করেননি, এই বিষয়ে খেদ প্রকাশ করতেও দেখা যায় সাংসদকে।