গণধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি শহরে। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে এক নাবালিকে তুলে নিয়ে যায় একদল যুবক। জঙ্গলে তুলে নিয়ে গিয়ে চলল লাগাতার ধর্ষণ।
নারকীয় নির্যাতনের ভিডিয়ো করা হয় বলেও অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে কাঁথি পুর এলাকায়। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই মূল অভিযুক্ত ও তার দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে কাঁথি থানার পুলিশ।
কাঁথি থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা কাঁথি শহরের অদূরে পাশাপাশি কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার অভিযুক্তদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে করা হয়েছে নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষা। ঘটনার পর অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন এলাকার বাসিন্দা থেকে জনপ্রতিনিধিরা। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভর সন্ধ্যায় কাঁথি শহরের এক নাবালিকাকে জোরপূর্বক সাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায় তিন যুবক।
এরপর কাঁথি শহরের কাছেই একটি জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে এক যুবক। গোটা ঘটনার ভিডিয়োগ্রাফি করে তার দুই বন্ধু। কোনও মতে ওই যুবকদের হাত থেকে বেঁচে ঘরে ফেরে নাবালিকা।
বাড়ি ফিরে মাকে সব কথা খুলে জানায় ওই নাবালিকা। পরে রীতিমতো অসুস্থও হয়ে পড়ে। এরপর নাবালিকার মা রাতেই কাঁথি থানায় এসে হাজির হয়। রাতেই কাঁথি থানায় তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পেয়ে তৎক্ষণাৎই কাঁথি থানার আই সি অমলেন্দু বিশ্বাসের নির্দেশে তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা কাঁথি শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করেন। রাতেই তিন অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কাঁথি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অমলেন্দু বিশ্বাস বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নেমে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” যদিও তদন্তের কারণে বেশি কিছু তথ্য জানাতে রাজি হননি তিনি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (২) ধারা ও পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
কাঁথি শহরে সন্ধ্যায় এই ধরনের ঘটনায় পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অনেকেই। সম্প্রতি কয়েক মাস আগে ভর দুপুরে স্কুলের সামনে স্বামীর হাতে স্ত্রীকে খুন হতে হয়। আবার এই ধরনের একটি ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয়রা চাইছেন, পুলিশি নিরাপত্তা আরও আঁটোসাটো করা হোক।