এই সময়: প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে যেতেই, কুন্তলের থেকে নেওয়া ৫০ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে চান। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ED) এমনটাই জানিয়েছেন শহরের নামকরা নেল পার্লারের কর্ত্রী সোমা চক্রবর্তী। অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের সূত্রে তাঁকে ৩ এবং ১০ মার্চ—দু’দফায় তলব করে ED।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সোমা জানিয়েছেন, ২০১৭-র শেষ দিকে তাঁর সঙ্গে কুন্তলের পরিচয়। কুন্তল তাঁর ভালো বন্ধু ছিলেন। নেল পার্লারের জন্য কুন্তল তাঁকে ৫০ লক্ষ টাকা ধার দেন। তবে কেন কুন্তল তাঁকে টাকা ধার দিলেন, কেন এত দিনেও সেই টাকা ফেরত দেওয়া হলো না—তার সদুত্তর অবশ্য দিতে পারেননি সোমা।

Primary TET Scam : পার্লারের প্রোমোশনে বনি-কৌশানী, ইডির জেরায় দাবি সোমার
ED সূত্রে খবর, দু’দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমা ওই টাকা ফেরত দিতে চেয়েছেন। এর আগে বেআইনি লগ্নিসংস্থার মামলাতেও একাধিক ব্যক্তি টাকা ফেরত দিয়েছেন। ED সূত্রে খবর, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ওই টাকা ডিমান্ড ড্রাফটের মাধ্যমে ফেরত দিতে চান সোমা।

Primary TET : কেন টাকা দেন কুন্তল? ফের ডাক সোমাকে
তাতে সম্মতি রয়েছে ED-রও। সোমা শনিবার সংবাদমাধ্যমে বলেন, “ED-র তরফ থেকে যা তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছিল, আমি দিয়েছি। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস রয়েছে। আমি আইনের বিপক্ষে গিয়ে কোনও কাজ করব না। এক বন্ধুর মাধ্যমে কুন্তল ঘোষের সঙ্গে পরিচয় হয়। ২০১৮-য় আমি একটা সমস্যার মধ্যে পড়েছিলাম। ওই সময়ে ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। পরিচিতরাই তো সমস্যার সময়ে সাহায্য করে। তবে আমি টাকা কবে ফেরত দেবো, তা নিয়ে এখনও কোনও কথা হয়নি।”

Primary TET Scam : ৫ বছরেও শোধ হল না ‘ঋণ’! কাল ডাক সোমাকে
তিনি বনি সেনগুপ্ত এবং কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের বিষয়ে বলেন, “কুন্তলের মাধ্যমে কৌশানীর সঙ্গে যোগাযোগ হয়। বনির সঙ্গে কোনও পরিচয় ছিল না। একটা ইভেন্ট থেকেই জানতে পারি, কৌশানী কুন্তলের পরিচিত। তবে আমি শান্তনুর (বন্দ্যোপাধ্যায়) নাম কখনও শুনিনি।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version