চলতি মাসে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে যৌথ মঞ্চের ডাকা ধর্মঘটে যোগ দিয়েছিলন বনদেউলি স্কুলের ন’জন শিক্ষক। বনদেউলি হাইস্কুলে বর্তমানের রয়েছে ২৮০ জন পড়ুয়া। এর মধ্যে ধর্মঘটের দিন ১৮০ জন পড়ুয়া স্কুল এলেও শিক্ষক না থাকায় ক্লাস করা সম্ভব হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। ধর্মঘটে অংশগ্রহণের শাস্তি হিসেবে তাঁদের স্কুলে দেখতে বাধা দেওয়া হয়েছে। পড়ুয়াদের অভিভাবকরা শিক্ষকদের স্কুলে ঢুকতে বাধা দিয়েছেন।
অভিভাবকদের শিক্ষকদের সটান জানিয়ে দিয়েছেন, যেদিন DA পাবেন সেদিন স্কুলে আসবেন। স্কুলের ঢোকার প্রধান গেট ঘেরাও করেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। শিক্ষকরা অভিভাবকদের আন্দোলনের কারণ বোঝানোর চেষ্টা করলেও তা শুনতে রাজি হননি তাঁরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বাইক নিয়ে স্কুলে ঢোকার মুখে দুই শিক্ষকের পথ আটকান অভিভাবকরা। শুক্রবার তাঁরা কেন স্কুলে আসেননি সেই প্রশ্ন করা হয়। জবাবে এক শিক্ষক অভিভাবকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তাঁদের দাবি দাওয়ার জন্য তাঁরা ধর্মঘটে সামিল হয়েছিল। অভিভাবকরা তাঁদের পালটা বলেন, এখানে কোনও আন্দোলন করা যাবে না। DA পেলে তাঁকে স্কুলে আসার নিদান দেওয়া হয়।
নিতাই শীল নামের এক অভিভাবক এই প্রসঙ্গে বলেন, “১০ তারিখ স্কুলে কোনও শিক্ষক আসেনি, পিওনরা ক্লাস করিয়েছেন। আমার ছেলে মেয়ে বাড়িতে গিয়ে বলল যে পিওন তাঁদের ক্লাস নিয়েছে। সেই কারণেই আমরা প্রতিবাদ করছি। আমরা চাই ওনারা DA পাওয়ার পর স্কুলে আসুক। এখানে ১২ জন শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও পিওন ক্লাস নিচ্ছে। শিক্ষক থেকে কোনও লাভ নেই।”
স্কুলের শিক্ষক সোমনাথ দে বলেন, “যৌথ মঞ্চের ডাকে আমরা ধর্মঘটের সামিল হয়েছিলাম। প্রাপ্ত ডিএ থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছিল। আমরা প্রায় ১০ জন শিক্ষক সেদিন স্কুল আসিনি। শিক্ষকদের জিজ্ঞেস করতেই অভিভাবকরা স্কুলে এসেছিলেন। আজ প্রধান শিক্ষক আসেননি, আগামিকাল কাল এলে আলোচনা করে ব্যাপারটা মিটিয়ে দেওয়া হবে।”