সঞ্জয় দে, দুর্গাপুর
নিচুতলার দুর্নীতি কাঁটা হয়ে বিঁধছে দলের অন্দরে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ফলে দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়াই এবার মূল লক্ষ্য শাসকদল তৃণমূলের। বিশেষ করে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দলে যাতে বেনোজল ঢুকতে না পারে, তাই লিখিত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

একটি ফর্মে কতগুলি প্রশ্নের জবাব দিতে বলা হয়েছে ইচ্ছুক প্রার্থীদের। সেই জবাবে দল সন্তুষ্ট হলে তবেই মিলবে প্রার্থীপদের টিকিট। দুর্গাপুরের কাঁকসা ব্লকে এমনই ফর্ম বিলি করছে শাসকদল।

BJP In West Bengal : ঝান্ডা বওয়ার লোক নেই, পদ্মে-ভরসা ভার্চুয়াল কর্মী
ওই ফর্মে জানানো হয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট পেতে গেলে দলের প্রতি আনুগত্য থাকার পাশাপাশি ইচ্ছুক প্রার্থীকে লিখিত ভাবে জানাতে হবে, তিনি কোনও দুর্নীতি বা সিন্ডিকেট রাজের সঙ্গে যুক্ত নন। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে, এমন কোনও কাজের সঙ্গে প্রার্থী যুক্ত থাকবেন না। দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে দল যা শাস্তি দেবে তা মাথা পেতে নিতে হবে।

ইচ্ছুক প্রার্থী অতীতে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, জানাতে হবে তাও। এমন মোট ৬টি বিষয়ে লিখিত স্বীকারোক্তি দিলে তবেই প্রার্থীপদের জন্য নাম বিবেচিত হবে। অঞ্চল সভাপতিদের কাছে পাওয়া যাবে ওই ফর্ম।

Biman Banerjee : ‘উনি তৃণমূলের লোক…’, সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ককে নিয়ে বিস্ফোরক স্পিকার
প্রার্থী বাছাইয়ে প্রাথমিক এই প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য অঞ্চল সভাপতি, ব্লক কমিটির পদাধিকারী ও শাখা সংগঠনের প্রধানদের দেখা করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা দিয়েছেন কাঁকসা ব্লক তৃণমূল সভাপতি ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য।

তিনি বলেন, “গত পঞ্চায়েতে নির্বাচিত একাধিক প্রার্থীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এবার দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে প্রত্যেক প্রার্থীকে এই স্বীকারোক্তি দিতে হবে। যাঁরা স্বীকারোক্তি দেবেন, তাঁদের মধ্যে থেকে একটি তালিকা তৈরি করে রাজ্য নেতৃত্বকে পাঠানো হবে। রাজ্য নেতৃত্ব চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা তৈরি করবেন। গোটা প্রক্রিয়াটি হচ্ছে স্থানীয় স্তরে।”

Udayan Guha: ‘ছবির নীচে সততার প্রতীক লিখতে পারছেন না মমতা, তার জন্য আমরা দায়ী!’ বিস্ফোরক রাজ্যের মন্ত্রী
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই সহমত পোষণ করেছেন দলীয় কর্মীদের অনেকেই। তাঁদের বক্তব্য, উপযুক্ত প্রার্থী বাছাইয়ে এই পন্থা কার্যকর হবে। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সড়ক বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ প্রবোধ মুখোপাধ্যায় বলেন, “কয়েকদিন ধরে শুনছি, ব্লক সভাপতি প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য একটি ফর্ম তৈরি করেছেন। এখনও ফর্ম হাতে পাইনি। তবে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির লোককে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।”

ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের প্রধান সাহিনা বেগম বলেন, “প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দল যা নির্দেশ দেবে, তা মেনে নেব।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version