হাসপাতালে গিয়ে তিনি এদিন প্রথমে হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে কথা বলেন। আহতদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সুপারের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা করার পর তিনি ওয়ার্ডে যান। সেখানে ভর্তি থাকা হানান সেখ সহ অন্যান্যদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে খোঁজ খবর নেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
তিনি বলেন, “দু’জন অসুস্থ থাকা স্বত্বেও তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বোঝা যাচ্ছে এর মধ্যেও রাজনীতি আছে।” দুদিন আগেও গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনার পর মেমারি থানার পুলিশকে একহাত নিতে দেখা যায় মন্ত্রীকে।
এদিন ফের মেমারি থানার পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যারা অপরাধী তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে নির্দেশ দিচ্ছি। আমরা মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। তারা তো আশেপাশেই আছে। কেউ তে আর লন্ডনে যায় নি। তাই অভিযুক্তদের ধরতে হবে।”
তাদের জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করতে হবে বলে পুলিশকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। মহম্মদ ইসমাইলের বিরুদ্ধে ফের এদিন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “৩২ হাজার ভোটে জিতেছি মন্তেশ্বরে। সুতরাং কে ঘেউ ঘেউ করছে। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। তৃণমূল দল সর্বজনীন। যে কেউ দলে গিয়ে ঝাণ্ডা ধরতে পারে।”
মহম্মদ ইসমাইলের উদ্দেশ্য তাঁর বক্তব্য, “নেতা হওয়া এত সহজ নয়। নেতা হতে গেলে তাকে সম্ভ্রম হতে হবে।” এদিন জেলা পুলিশ সুপারকে ডেপুটেশন দেওয়ার পাশাপাশি তিনি জেলাশাসকের সঙ্গে এই নিয়ে বৈঠক করবেন বলেন জানান।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই মেমারি ২ নম্বর ব্লকের বিলবাড়ি, ঝিকরা সহ গোটা এলাকায় অশান্তি ছড়ায়। প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ ইসমাইলের সঙ্গে মন্তেশ্বরের বিধায়ক তথা গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বাক যুদ্ধে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়ায়। দুই তৃণমূল নেতা একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করেন।
রবিবার সন্ধ্যায় বিবাদমান দু’পক্ষে মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। তাতে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থক জখম হয়। পাঁচ জন তৃণমূল কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, ধৃতরা সবাই মহম্মদ ইসমাইলের অনুগামী।