ক্যানিং পূর্বের তৃনমূল বিধায়ক সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে গভীর রাতে ফোন করে হুমকি দেন পীরজাদা সাফেরি সিদ্দিকিকে, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ এনে হুগলি জেলার জাঙ্গিপাড়া থানায় শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন সাফেরি সিদ্দিকি। গত ১২ই মার্চ রাতে ফুরফুরা দরবার শরিফে ইজারত করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন শওকত মোল্লা। তার কনভয় ঘিরে ‘চোর চোর’ বলে চিৎকার করতে থাকেন স্থানীয় ISF সমর্থকরা।
ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা করলেও এই ঘটনাকে ঘিরে মাজারে প্রার্থনা না করেই সেদিন ফিরতে হয়েছিল শওকত মোল্লাকে। অভিযোগ এর পরেই গভীর রাতে সাফেরি সিদ্দিকিকে ফোন করে শওকত অকথ্য ভাষায় কথা বলেন এবং হুমকি দেন। এবার তাঁর বিরুদ্ধে জাঙ্গিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সাফেরি সিদ্দিকি।
অভিযোগ দায়ের করে এই বিষয়ে তিনি জানান, “আমার বংশের লোকদের অপমান করেছেন শওকত মোল্লা। তাই তার ফুরফুরার পবিত্র মাজারে ইজারত করার কোনও অধিকার নেই”। সাফেরি সিদ্দিকি আরও বলেন, “ওইদিন রাতে ISF সমর্থকরা শওকতকে লক্ষ্য করে স্লোগান দেন। এদিকে ISF সমর্থকদের সঙ্গে আমার দূর দূরান্ত পর্যন্ত কোনও সম্পর্ক নেই।
অথচ উনি ফোনটা আমাকেই করলেন, আর যা নয় তাই কথা শোনালেন। এমনকি যথেষ্ট অকথ্য ভাষায় তিনি ব্যবহার করেন। কে না কে স্লোগান দিয়েছে তাঁকে ঘিরে, আর সেই জন্য আমাকে কেন কথা শুনতে হবে!” তিনি মনে করছেন, তাঁকে ফোনে যেভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে তাতে তাঁকে হয়ত এরপর আক্রমণ করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, সেদিন শওকত মোল্লা ত্বহা সিদ্দিকির বাড়িতে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, “ফুরফুরার পীর ভাইদের সম্মান করি, কিন্তু নওশাদ আব্বাসরা রাজনীতি করে তাই তাদের সম্মান করি না”। এছাড়াও পরের দিন অর্থাৎ সোমবার তিনি সাংবাদিক সন্মেলন ডেকে নওশাদ ও আব্বাস সিদ্দিকিকে রীতিমতো আক্রমন করেন। আর বলেন, রবিবার রাতে তাঁকে ঘিরে যে স্লোগান ও হাঙ্গামা করা হয়েছে ফুরফুরাতে, তার পিছনে নওশাদ ও আব্বাসের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে।