ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে ধৃত, সদ্য তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করে কোন কোন জায়গায় চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হতো, তার কিছু তথ্য মিলেছে। তা যাচাই করতেই খতিয়ে দেখা হবে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ। জানার চেষ্টা হবে, বৈঠকগুলিতে কারা উপস্থিত থাকতেন। আগামী দিনে তাঁদের চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল এবং শান্তনু – এই ত্রিমূর্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে ইতিমধ্যে ইডির নজরে এসেছে। কুন্তলের ফ্ল্যাটে নানা সময়ে তাপসরা বৈঠক করেছেন বলেও জেনেছেন তদন্তকারীরা। আর জেরায় শান্তনু জানিয়েছেন, শহরের কয়েকটি কফিশপেও এমন বৈঠক হয়েছে। তাতে আরও কয়েকজন উপস্থিত থাকতেন। দুর্নীতির তদন্তে আর্থিক লেনদেনের সূত্র খুঁজে বের করার পাশাপাশি তদন্তকারীদের কাছে অত্যন্ত জরুরি হলো, কোন কোন জায়গায় বসে ষড়যন্ত্র হয়েছে, সেটা খুঁজে বের করা। সিসিটিভিরফুটেজ মিললে তদন্তকারীদের কাজে অনেকটা সুবিধে হবে।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মূল কারবারটা ২০১৬-১৭ এবং ২০২০-২১ নাগাদ হয়েছে বলে জেনেছে ইডি। কারণ, ওই সময়েই প্রায় ৪৩ হাজার এবং সাড়ে ১৬ হাজার নিয়োগ হয়েছিল যথাক্রমে। এসএসসি-র মাধ্যমে দুর্নীতি চলেছে মূলত ২০১৮-২০ সালের মধ্যে। এতদিন আগেকার সিসিটিভি ফুটেজের ব্যাক-আপ কফিশপগুলির কাছে সংরক্ষিত আছে কি না, সে প্রশ্ন তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে।