এই সময়: স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি এবং সিবিআই। এ বার কলকাতার তিনটি কফিশপের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ চেয়ে চিঠি দিল ইডি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, তিনটি নামী হোটেলের কফিশপের গত দু’তিন বছরের ফুটেজ চাওয়া হয়েছে। সেই ফুটেজ কফিশপ কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে থাকলে, তা তদন্তকারীদের পাঠাতে হবে।

Santanu Banerjee : শান্তনুকে টাকা দিলে কি সরকারি দফতরে বদলিও, মিলেছে নথি, আদালতে লিখিত দাবি ইডির
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে ধৃত, সদ্য তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করে কোন কোন জায়গায় চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হতো, তার কিছু তথ্য মিলেছে। তা যাচাই করতেই খতিয়ে দেখা হবে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ। জানার চেষ্টা হবে, বৈঠকগুলিতে কারা উপস্থিত থাকতেন। আগামী দিনে তাঁদের চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে।

Recruitment Scam : ম্যারথন জেরা শেষে নিয়োগ দুর্নীতিতে ED-র হাতে গ্রেফতার শান্তনু
নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল এবং শান্তনু – এই ত্রিমূর্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে ইতিমধ্যে ইডির নজরে এসেছে। কুন্তলের ফ্ল্যাটে নানা সময়ে তাপসরা বৈঠক করেছেন বলেও জেনেছেন তদন্তকারীরা। আর জেরায় শান্তনু জানিয়েছেন, শহরের কয়েকটি কফিশপেও এমন বৈঠক হয়েছে। তাতে আরও কয়েকজন উপস্থিত থাকতেন। দুর্নীতির তদন্তে আর্থিক লেনদেনের সূত্র খুঁজে বের করার পাশাপাশি তদন্তকারীদের কাছে অত্যন্ত জরুরি হলো, কোন কোন জায়গায় বসে ষড়যন্ত্র হয়েছে, সেটা খুঁজে বের করা। সিসিটিভিরফুটেজ মিললে তদন্তকারীদের কাজে অনেকটা সুবিধে হবে।

Santanu Banerjee : ‘সোনার খনি’, চমকানোর মতো নাম আছে শান্তনুর দুই আইফোনে: ইডি
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মূল কারবারটা ২০১৬-১৭ এবং ২০২০-২১ নাগাদ হয়েছে বলে জেনেছে ইডি। কারণ, ওই সময়েই প্রায় ৪৩ হাজার এবং সাড়ে ১৬ হাজার নিয়োগ হয়েছিল যথাক্রমে। এসএসসি-র মাধ্যমে দুর্নীতি চলেছে মূলত ২০১৮-২০ সালের মধ্যে। এতদিন আগেকার সিসিটিভি ফুটেজের ব্যাক-আপ কফিশপগুলির কাছে সংরক্ষিত আছে কি না, সে প্রশ্ন তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version