এদিকে এই নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কাছেও অভিযোগ দায়ের করেছে ওই পরিবার। তবে এখনও অধরা অভিযুক্ত যুবক। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে বালুরঘাট থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূর স্বামী পরিযায়ী শ্রমিক। স্বামী গোয়াতে থাকেন৷ যার ফলে শ্বশুরবাড়িতেই শাশুড়িকে নিয়ে একাই থাকেন ওই গৃহবধূ।
এদিকে প্রতিবেশী অতুল মন্ডল নামের এক যুবক মাঝে মধ্যেই ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিত। যা নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন ওই গৃহবধূ। অভিযোগ, গত ১লা মার্চ রাতে ওই গৃহবধূর ঘরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে ওই অভিযুক্ত যুবক। এরপর তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা আসলে সে পালিয়ে যায়।
ওই ঘটনা জানাজানি হতেই অপমানে কীটনাশক খান ওই গৃহবধূ। দু’দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরে বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ওই ঘটনায় আক্রান্ত গৃহবধূর বাবা ওই অভিযুক্তের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত।
এই বিষয়ে ওই গৃহবধূর বাবা নীরেন দাস বলেন, “আমি দিন দশেক আগে বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু এখনও ওই যুবক গ্রেফতার হয়নি। আমরা জানতে পারছি সে কোথায় আছে৷ তবুও কেন গ্রেফতার হচ্ছে না, বুঝতে পারছি না। তাই পুলিশ সুপারের কাছেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
আজকে ফের থানাতে এসেছি। আমার মেয়ের সঙ্গে এত বড় অন্যায় করল ওই যুবক, যার জন্য আমার মেয়ে কীটনাশক খেল। তবুও কেন অভিযুক্ত গ্রেফতার হবে না? অভিযুক্ত কোথায় আছে সেটাও বলেছি”। কিন্তু কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না পুলিশ, অভিযোগ এমনই।
তাই হন্যে হয়ে রোজ থানা, পুলিশ অফিসের চক্কর কাটছেন ওই ব্যক্তি। অন্যদিকে পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে। তিনি এই ব্যাপারে বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই৷ আমি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব”।