জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তিনি বহু যুদ্ধের সাক্ষী। সেটা অবশ্য বাইশ গজের যুদ্ধে। যেখানে তিনি ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়েছেন। তবু ভারত (India) আর পাকিস্তানের (Pakistan) নাম জড়িয়ে যাওয়া মানেই খেলার মাঠের লড়াই-ও জমজমাট হয়ে ওঠে। তার নেপথ্যে যে কারণই থাক না কেন, সেই লড়াইটা লড়তে হয় দুই দেশের খেলোয়াড়দের, মাঠে নেমে। এমনই বহু যুদ্ধে বুক চিতিয়ে পাকিস্তানের হয়ে লড়াই করেছেন শাহিদ আফ্রিদি (Shahid Afridi)। সেই তাঁর কাছেই ভারতীয় পতাকায় সইয়ের আবদার করে বসেন এক ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমী। সেই আবেদনে সাড়া দিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং পিসিবি-র (PCB) জাতীয় নির্বাচক কমিটির বর্তমান চেয়ারম্যান।
এমনিতে ভক্তদের সব আবদার-ই মেটান খেলোয়াড়রা। আর ভক্তরাও ভালবাসার নিরিখে পেরিয়ে যান দেশ-কালের সীমানা। পাকিস্তানে বহু ক্রিকেটপ্রেমীই আছেন, যাঁরা বিরাট কোহলির ‘জাবড়া ফ্যান’। একই কথা তো সচিন তেন্ডুলকরের জন্যও খাটে। আবার ওয়াসিম আক্রমের কথাই ধরা যাক!ভারতবর্ষে তাঁর ভক্ত সংখ্যাও কম নয়। যেমন ইমরান খানের ফ্যান ছিলেন অনেকেই। আবার ঃশোয়েব আখতার যতই ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডারকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলুন না কেন, ওই বেপরোয়া বোহেমিয়ানারও ভক্ত ছিলেন অনেকে। অর্থাৎ মাঠের যুদ্ধ থাকে মাঠে। মাঠের বাইরে জয় কিন্তু খেলারই। সেখানে কোনও সীমানা থাকে না, থাকে না জাতি-ধর্মের গণ্ডি।
আরও পড়ুন: Sunil Narine, IPL 2023: ০ রানে ৭ উইকেট! আইপিএল-এর আগে দাপুটে সুনীল নারিন
আরও পড়ুন: Andre Russell, IPL 2023: শুরু হয়ে গেল অনুশীলন, নাইটদের নতুন নেতা কি আন্দ্রে রাসেল?
— Cricket Pakistan (@cricketpakcompk) March 19, 2023
এমনকী ক্রিকেটাররাও ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় বহুবারই জানিয়েছেন যে, মাঠের লড়াই মাঠের বাইরে আর সেভাবে থাকে না। একটা উইকেট পাওয়ার জন্য স্লেজিং, কিংবা একটা ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জেতানোর পর প্রতিপক্ষকে টেক্কা দিয়ে বাজিমাতের যে উল্লাস, সে সব মাঠেরই দৃশ্য। সে-বাউন্ডারি পেরিয়ে এলে সকলেই বন্ধু। আর তাই আফ্রিদির কাছে একেবারে ভারতের জাতীয় পতাকাতেই সইয়ের আবদার করে বসেন জনৈক অনুরাগী।
পাকিস্তানের বহু যুদ্ধের নায়ক অবশ্য ভারতের তেরঙ্গায় সই করতে দ্বিধা করেননি। সম্প্রতি দোহায় লেজেন্ড লিগ ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত তিনি। তার মধ্যেই ভক্তের অভিনব আবদার মিটিয়ে দৃষ্টান্তই স্থাপন করলেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার। জার্সির রঙে দেশ আলাদা হয়ে যায়, কিন্তু ক্রিকেট তো হয় না। তাই ক্রিকেটের অনুরাগী যে দেশেরই হোন না কেন, একই রকম সম্মান তাঁর প্রাপ্য। সেখানে কোনও ভেদাভেদ থাকে না। থাকে না মাঠের যুদ্ধের ছাপ। একটা সইয়ের মাধ্যমে সে কথাই যেন বুঝিয়ে দিলেন আফ্রিদি।