West Bengal News : স্কুলের মেঝে তৈরি হয়নি। নেই পর্যাপ্ত বেঞ্চ, এমনকি নেই কোনও শৌচালয়ও। ২০১৭ সালে তৈরি হয় স্কুল। কিন্তু ছয় বছর পরেও চূড়ান্ত অব্যবস্থা বাঁকুড়া জেলার খাতড়ার ডমনাশোল প্রাথমিক বিদ্যালয়। ক্ষোভপ্রকাশ অভিভাবকদের। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে অভিযোগ পেয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন স্কুল পরিদর্শক জগবন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায়।

Howrah News : শৌচাগারে থই থই করছে নোংরা জল, বাধ্য হয়ে হাওড়ার স্কুলে আসা বন্ধ পড়ুয়াদের
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৭ সালে খাতড়ার সুপুর অঞ্চলের ডমনাশোল প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। তবে এতদিনেও বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উন্নতি না হওয়ায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে অভিভাবক সহ স্থানীয়দের মধ্যে। রীতিমতো আতঙ্ক নিয়ে পঠন-পাঠন চালিয়ে যাচ্ছেন গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে পড়ুয়ারা। বিদ্যালয়ে এখনও কোনও পলেস্তরা নেই। মেঝেও তৈরি না হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয় খুদেদের। সমস্যা হচ্ছে বেঞ্চ ও শৌচালয় নেই বলেও।

Dakshin 24 Pargana: বছরে ভর্তি হয় মাত্র ২ জন! পড়ুয়ার অভাবে ধুঁকছে সুন্দরবনের স্কুল
অভিবাভকরা জানিয়েছেন, শৌচালয় না থাকায় স্কুল চত্বরের বাইরে যেতে হয় ছোট্ট পড়ুয়াদের। পাশাপাশি সব স্কুলে বেঞ্চ থাকলেও এই স্কুলের পড়ুয়ারা বেঞ্চে বসার সুযোগ থেকে এখনও বঞ্চিত। দীর্ঘদিন ধরেই এরকম একাধিক সমস্যা নিয়ে চলছে এই স্কুল। তার ফলে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে অভিভাবক সহ বাসিন্দাদের মধ্যে। স্কুলে রয়েছেন মোট দু’জন শিক্ষক। পড়ুয়া সংখ্যা ৫০ জন। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মেঝে তৈরি না হওয়ায় ও শৌচাগার না থাকার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। সমস্যার কথা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ স্কুলের উন্নয়নের ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

Nawsad Siddiqui : নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা, নিজের স্কুলে পরিকাঠামো দেখে ‘অবাক’ নওশাদ
স্কুলের এক পড়ুয়ার অভিভাবক সুজয় মণ্ডল বলেন, “স্কুলে বাচ্চাকে পাঠাতে ভয় লাগে। স্কুলের ভেতরে মাঝেমধ্যে সাপখোপ ঢুকে পড়ে। তাছাড়া বাথরুম না থাকার জন্য বাইরে বেরিয়ে দূরে গিয়ে করে আসতে হয়। দীর্ঘদিন ধরেই স্কুলটার এরকম অবস্থা। জেলা প্রশাসনের একটু নজর দেওয়া উচিত।”

DA Protest News : বকেয়া DA-র দাবিতে ধর্মঘটে যোগ দেওয়ায় ‘দুর্ব্যবহার’! শিক্ষকদের পা-ধরে ক্ষমা স্থানীয়দের
স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে ইলেকট্রিক লাইনের সু-ব্যবস্থা নেই। যত্র-তত্র ইলেকট্রিক তার ঝুলে রয়েছে। এগুলি থেকে যে কোনও মুহূর্তে কোনও বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। স্কুলের নিকটে কংসাবতী সেচ ক্যানেল গিয়েছে। শৌচাগার না থাকায় পড়ুয়ারা বাইরে যায়। ফলে বাচ্চাকে স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয় অভিভাবকদের। পাকা মেঝে না থাকার ফলে স্কুলের ভেতরেই বিভিন্ন পোকা- মাকড় দেখা যায় প্রায়শই। বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক বিভাগের জেলা স্কুল পরিদর্শক জগবন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, একধিক সমস্যা রয়েছে। তবে সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version