যদিও সায়ন্তিকার দাবি, এই গাড়ি যখন তাঁর বাবা পুলিশে চাকরি করতেন তখনকার। এখনও তিনি পরোক্ষভাবে পুলিশ সার্ভিসে রয়েছেন। তাই এটা তাঁরই গাড়ি। এদিন বাঁকুড়ার মেজিয়ায় দিদির দূত কর্মসূচীতে যান সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকালে মেজিয়া ব্লকের ডাং মেজিয়া গ্রামের মন্দিরে পুজো দেন তিনি। পরে দলের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মেজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত ও তেওয়ারি ডাঙ্গা এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন সায়ন্তিকা।
অভিযোগ এদিনের দলীয় সমস্ত কর্মসূচীতে সায়ন্তিকা যে গাড়িটি ব্যবহার করেছিলেন তার পিছনের কাচে বড় বড় হরফে লেখা রয়েছে পুলিশ। আর এতেই বিতর্ক দানা বাঁধে। বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন তিনি পুলিশের গাড়িতে চড়ে কীভাবে দলীয় কর্মসূচী করছেন। সায়ন্তিকা অবশ্য এতে দোষের তেমন কিছু দেখছেন না।
সায়ন্তিকার সাফাই, “আমার বাবা পুলিশে কাজ করতেন। অবসর নিলেও পুলিশ সার্ভিসের সঙ্গে এখনও পরোক্ষে যুক্ত রয়েছেন। বাবার সেই গাড়িই আমি ব্যবহার করছি। এটা নিয়ে মিডিয়া ও বিরোধীরা অহেতুক জলঘোলা করছেন। আমি যেটা বললাম তা খোঁজ নিয়ে দেখুন, সত্যিটা জানতে পারবেন”।
কিন্তু এর আগে তো কখনও তাঁকে বাঁকুড়া জেলায় এই গাড়ি নিয়ে দেখা যায়নি? এই প্রশ্নের উত্তরে তারকা নেত্রী বলেন, “আগে আমি আমার নিজের গাড়ি বা দলের গাড়ি নিয়েই জেলা সফর করেছি। এবার কিছু সমস্যা থাকায় বাবার এই গাড়িটি নিয়ে এসেছি”। যদিও বিষয়টিকে এভাবেই ছেড়ে দিতে রাজি নন জেলা BJP নেতৃত্ব।
বাঁকুড়া জেলা BJP নেতা স্বপন মুখার্জী এই বিষয়ে বলেন, “তৃণমূলের সব নেতা নেত্রীরাই বুঝে গিয়েছেন বাইরে বেরোলেই সাধারন মানুষ তাঁদের তাড়া করবেন, তাই ভয় পেয়ে পুলিশের গাড়িতে দলীয় কর্মসূচিতে বেরোতে হচ্ছে। আসলে এদের দুর্নীতি , টাকা খাওয়া এতটাই গভীরে চলে গিয়েছে যে এরা রীতিমতো ভয় পাচ্ছেন জনগনকে। এদের দিন ঘনিয়ে এসেছে”।
তৃণমূলের তারকা নেত্রীর এই কাণ্ড যে জেলার রাজনীতিতে নতুন আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিল, তা এক বাক্যে স্বীকার করছেন জেলার রাজনৈতিক মহল।