রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, এ বার রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ৬৩ হাজার ৩৩৯টি বুথ তৈরি হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৬৬ লক্ষ ৭৪ হাজার। ভোট হবে ব্যালটে। প্রয়োজন প্রায় সাড়ে চার লক্ষ ব্যালট বক্স। সেই জন্য ভিন রাজ্যের অপেক্ষায় না-থেকে কমিশন দেড় লক্ষ ব্যালট বক্স কিনেছে। ব্যালট বক্স লুট করে ভোটে কারচুপি রুখতে প্রতিটি ব্যালট বক্সে থাকছে কিউআর কোড। যা দিয়ে কমিশন নিজস্ব অ্যাপের সাহায্যে ব্যালট বক্সের গতিবিধির উপর নজরদারি করতে পারবে।
কমিশনের হিসেবে, ভোটগ্রহণ ও গণনার জন্য মোট প্রায় সাড়ে চার লক্ষ ভোটকর্মী দরকার। কিন্তু এত সরকারি কর্মী কোথায়? রাজ্য সরকারের বহু পদ শূন্য। কমিশন অবশ্য পঞ্চায়েত ভোটে সরকারি কর্মী ছাড়াও, পুরকর্মী, সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের এবং কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মীদের যুক্ত করতে চায়। এপ্রিলের গোড়ায় ২২টি জেলায় ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
ভোট পরিচালনায় তথ্যপ্রযুক্তিকে হাতিয়ার করতে চলেছে কমিশন। কোনও ভোটকর্মী যে ব্লকে বসবাস করেন বা চাকরি করেন, সেই ব্লকের কোনও বুথে তিনি দায়িত্ব পাবেন না। কোন ভোটকর্মী কোন বুথে ভোটের ডিউটি করবেন, সেটা নির্ধারণ করার জন্য সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগেই জানা যাবে বুথ ভিত্তিক ডিউটির কথা। ইতিমধ্যেই কমিশন এই সফ্টওয়্যার সব জেলায় পাঠিয়েছে।