আইনি গেরোয় আটকে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ। সেই জট কাটিয়ে নিয়োগের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হতে পারে। আপার প্রাইমারি ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়ছে বলে জানিয়েছে SSC। এক্ষেত্রে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ থাকছে। কিন্তু, যেহেতু তা মূল মামলা আদালতের আওতাধীন, তাই নিয়োগ করতে পারছে না SSC।

Recruitment Scam : নিয়োগ-জট কাটছে উচ্চ প্রাথমিকে ৭ বছর পর
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছে SSC। এই নিয়োগের ক্ষেত্রে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ প্রয়োজন, জানানো হয় এমনটাই। SSC-র এই আবেদনের প্রেক্ষিতে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী সোমবার বা মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হতে চলেছে।

Calcutta High Court : ‘প্রয়োজনে সব নিয়োগ খারিজ করে দেব’, হাইকোর্টে চরম ভর্ৎসনার মুখে SSC
উল্লেখযোগ্যভাবে, বুধবার SSC নিজের ওয়েবসাইটে অ্যাপ্লিকেশন লিঙ্ক আপলোড করেছে। পাশাপাশি কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বুধবার জানিয়েছিলেন, আদালত যদি নির্দেশ দেয় সেক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহেই উচ্চ প্রাথমিকের প্রার্থীদের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। শুনানির তারিখ পেলে মেধাতালিকা প্রকাশের জন্য আবেদন করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

SSC Protest : টেনে হিঁচড়ে SSC চাকরিপ্রার্থীদের প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ, সল্টলেকে ধুন্ধুমার
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সাল থেকে উচ্চ প্রাথমিকে কোনও নিয়োগ হয়নি। এর আগে ২০১১ সালে আদালতের নির্দেশে বাতিল হয়ে গিয়েছিল প্যানেল। বুধবার মেধা তালিকা প্রকাশের দাবি করে উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা SSC অভিযান চালিয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের ডাকে গতকাল বুধবার এই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়।

Recruitment Scam : নিয়োগ-দুর্নীতির সমস্ত মামলার শুনানি একত্রে: সুপ্রিম কোর্ট
আর তা নিয়েই রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় সল্টলেকে। একাধিক জনকে আটক করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, উচ্চ প্রাথমিকে SSC-র তরফে ২০১৬ সালে ১৪ হাজারেরও বেশি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল।

Manik Bhattacharya : স্কুল থেকে কলেজের অধ্যক্ষ, গেরোয় মানিক
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে উচ্চ প্রাথমিক TET প্রার্থীদের ভুল প্রশ্ন এবং সিলেবাসের বাইরে থেকে প্রশ্ন করার জন্য আদালতের নির্দেশ মোতাবেক অতিরিক্ত নম্বর না দেওয়ায় কিছুদিন আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার কমিশনের উপর উষ্মা প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, এই সমস্ত আচরণের জন্য সাধারণ মানুষের কাছে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে কমিশনের। প্রয়োজনে সব নিয়োগ খারিজ করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

Group C Recruitment : ‘খেলা হবে’ শুনেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করছে ED-CBI। ইতিমধ্যেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি এই মামলায় ED-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অভিনেত্রী তথা মডেল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version