বিরোধী দলনেতা প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের জেল সুপারের ফোন খতিয়ে দেখার দাবি তোলেন। একইসঙ্গে অফিসের সিসিটিভিও পরীক্ষা করে দেখার কথা বলেন। শুভেন্দুর মন্তব্য,”বুধবার বিকেল চারটে থেকে সোওয়া চারটে পর্যন্ত জেলার ঘরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অ্যাডভোকেট ছিলেন সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ সংরক্ষণ করা হোক।”
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে, ”পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আমি বলেছি আমার নামে একটা সুপারিশ পত্র দেখিয়ে দিতে পারলে তারপর আমি বুঝব। একটা ছোট্ট চিরকূটও যদি দেখাতে পারেন। আমার বিধানসভা এলাকায় কোন স্কুলের চক ডাস্টার পর্যন্ত চাইনি। এই চক্রান্তের মূল যিনি, তিনি ব্রাত্য বসুকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শিক্ষা দফতর দিয়েছিলেন এই অপকর্মগুলো করার জন্য। আমার তিন দশকের রাজনৈতিক কেরিয়ারে নারদা কেলেঙ্কারি ছাড়া আমার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণিত অভিযোগ নেই। এই ধরনের দুর্নীতির জন্য আমি তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন বড় পদ এবং মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়ে এসেছি। ওরা কিন্তু আমাকে তাড়ায়নি।”
এখানেই শেষ নয়, বিজেপি নেতা বলেন, নিয়োগ দুর্নীতির গভীরে যেতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মোবাইলের চ্যাট ও হোয়াটস অ্যাপ পূর্ব জমানায় মোবাইলের মেসেজ পরীক্ষা করে দেখার আর্জি জানান তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছে।
নারদা নিয়েও এদিন ফের সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, ”২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন করেছে অ্যালকেমিস্ট এর টাকায় ৭৫ কোটি টাকা দিয়েছিল কেডি সিং। প্রত্যেকটা ক্যান্ডিডেটকে ৫০ লক্ষ ৭০ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল দুজন টাকা নেয়নি শিশির অধিকারী ও শুভেন্দু অধিকারী।” নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে দোষারোপ, পালটা দোষারোপে বৃহস্পতিবার দিনভর উত্তাল রইল বঙ্গ রাজনীতির ময়দান।