গত ১১ মার্চ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি গ্রেফতার করে। বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ তাকে ইডি দফতর থেকে ব্যাংকশাল আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এই সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর শান্তনু বলেন, “অ্যাকাউন্টে ৪০ লাখ টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে আগামী দিনে আপনারা সব জানতেন পারবেন।” শান্তনুর এই মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। ‘সব জানতে পারবেন’ বলতে তিনি কী বোঝাতে চাইছেন ? এ নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন গুঞ্জন।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয় কুন্তল ঘোষের সঙ্গে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠতা ছিল একাংশ দাবি করছে। অন্যদিকে, ‘কালীঘাটের কাকু’ এই নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে আগেই দাবি করেছিলেন, যদিও শান্তনু’র অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেনের বিষয়ে তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সূত্রের খবর, চুঁচুড়া, চন্দননগর, হাওড়ার মুন্সিরহাট সহ কয়েকটি জায়গায় রিয়েল এস্টেটে প্রিয়ঙ্কার নামে লগ্নি করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা। যদি তদন্ত করে জানতে পারে, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে প্রোমোটিং ব্যবসা রয়েছে। চন্দননগরে সেই ব্যবসার অংশীদার হিসাবে রয়েছে ইন্দ্রনীল চৌধুরী নাম এক ব্যক্তি। কোম্পানির ব্যালান্স শিটে দেখা যায়, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যকে ৪০ লাখ টাকা এবং শান্তনুর সিলের নাম সংস্থা ইভান কন্ট্রেডকে ৪০ লাখ টাকা লোন দেওয়া হয়েছে। সেই ব্যালান্স শিট থেকেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর নাম উঠে আসে। এই সমস্ত তথ্য ইতিমধ্যে ইডির কাছে জমা পড়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রোজই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধীরে ধীরে জাল গোটাতে শুরু করেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। তার মাঝেই শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের নতুন জল্পনা তৈরি করে দিল। ঠিক কী কারণে এবং ‘সবকিছু’ বলতে তিনি কী বোঝাতে চাইছেন, সে ব্যাপারে আগামীদিনে বিস্তারিত জানা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।