সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উদয়ন বলেন, “বাম আমলে কোটার চাকরি হয়েছে। সেই সময় আমি ফরওয়ার্ড ব্লক করতাম আমার বলতে কোনও অসুবিধা নেই। চাকরি ভাগ হত। সিপিএম সব থেকে বেশি অংশ পেত। জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে ফরওয়ার্ড ব্লকও চাকরি পেত। বাকি অংশ সিপিআই ও আরএসপির মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হত। কোটা অনুযায়ী মাধ্যমিক পাশ হলেই চাকরি মিলত। মাধ্যমিকের সার্টিফিকেট থাকলেই চাকরি হয়ে যেত।”
তিনি আরও বলেন, “আমি সেই সময় ফরওয়ার্ড ব্লক করতাম, সেই কারণে দায় অস্বীকার করছি না। আমি যখন বিধায়ক হই, তখন এই কোটা উঠে গিয়েছে। অনেকে দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করে মুখ্যমন্ত্রীর কোটায় অনেকে ডাক্তার হয়েছেন। আমি ১০০ জনের নাম এমনিই বলতে পারব, যাঁরা কোটায় চাকরি পেয়েছেন। যে সারাদিন দল করত, তাঁর স্ত্রীয়ের চাকরি দল করে দিত। এটা কী কোনও দুর্নীতি নয়!”
উদয়নের এই মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। এর আগে একই কায়দায় বামেদের নিয়োগ নিয়ে আক্রমণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুক্রবার বিকাশ ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সেখানে বামেদের উদ্দেশে তাঁর পরমার্শ ‘কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়বেন না।’ তাঁর মতে বামদের আমলে অনেকেই নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাকরি পেয়েছেন। এমনকী একই পরিবারের চারজনের চাকরি পাওয়ার অভিযোগ করেন মন্ত্রী। তাঁর দাবি, ইডি-সিবিআইয়ের মতো সংস্থাগুলির তদন্তে বাম আমলকেও আনা হোক, তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে।