সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন আর সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেকে সরিয়ে রাখতে চাইছেন শহীদ তাপসী মালিকের বাবা মনোরঞ্জন মালিক। তাঁর দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি দলের নেতৃত্বের কথায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু পরক্ষণে তাঁকে চাপ দিয়ে প্রার্থী প্রত্যাহারের কথা বলে দলের কিছু নেতারা। সেই কথায় রাজি হননি তিনি । ভোটে ন্যানো চিহ্নে নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই প্রার্থীপদ প্রত্যাহার না করায় , পরবর্তী সময়ে শাসক দলের নেতৃত্বের চক্ষুশূল হয়েছিলেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের কারণে আবারও আলোচনা সিঙ্গুর। ঠিক তখনই শাসকদলের সঙ্গে দূরত্ব ঘোচাতে সচেষ্ট তাপসী মালিকের বাবা মনোরঞ্জন মালিক। তিনি বলেন, ”ভোটে নেই, দিদি ডাকলেই আমি লড়বো। তবে রাজনৈতিক লড়াইয়ের ময়দানে আমি আছি, দিদি আমাকে ডাকলেই আমি যাব। আমি কখনও দিদির বিরুদ্ধে দাঁড়াইনি আমাকে ফাঁসানো হয়েছে গতবারে।”
এখানেই শেষ নয় মনোরঞ্জন মালিক অভিযোগ করেছেন, ”রবিন বাবু, তপন দাশগুপ্ত আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমাকে বলেছিল দলীয় প্রতীকে দাঁড়াতে হবে, আমি জোড়া ফুলের প্রতীকে এখান থেকে দাঁড়িয়ে ছিলাম । সেই অনুযায়ী নমিনেশন ফাইল করেছিলাম। কিন্তু, চার দিন পর আমাকে হঠাৎ প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করতে হবে। আর তখন প্রত্যাহার করিনি বলেই আমি হয়ে গিয়েছি নির্দল। যদিও নির্দল হয়েও আমি কোন প্রচার করিনি। তৎকালীন শাসকদলের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বাড়িতে গিয়ে আমাকে বলেছিলেন ভোটে লড়তে হবে। সেটা করিনি বলেই আমি নির্দল হয়েছি। তবে এখন দলের হয়ে কাজ করব কিন্তু ভোটে দাঁড়াব না।”
এদিনের সভায় ডাক পড়েনি মনোরঞ্জন মালিকের । ১০ মাস আগে গত বছর জুনেও যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুরে এসেছিলেন তখন দেখা যায়নি তাপসী মালিকের বাবাকে। সেবার তাঁর গলায় শোনা গিয়েছিল অভিমানের সুর। ১০ মাসে যদিও বদলে গিয়েছে সে সুর। এদিন তিনি বলেন, ”সরকারি অনুষ্ঠানে দিদি আমাকে ডাকে না তা নিয়ে আমার মনে কোন দুঃখ বা ক্ষোভ নেই। আমি দিদিকে ভালোবাসি, আমার মনে দিদির জায়গা আছে। তবে এখনও পর্যন্ত আমার ডাক পড়েনি , ডাকলে আমি যাব।”