এবার ‘অমরাবতী’ পার্ককে সাজাতে উদ্যোগ নিল দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। জানা গিয়েছে, তারা দশ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। এরপরেই ‘অমরাবতী’-র ভোল বদল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আগে ইয়াস এবং আমফানে পার্কের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
জলাশয়ের উপর কাঠের সেতুটিও ভেঙে যায়। কোনওভাবেই যাতে পর্যটকদের কোনও অসুবিধা না হয় সেজন্য দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ অমরাবতীকে সাজানোর জন্য রাজ্য সরকারকে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। এরপরেই এই প্রকল্পে আর্থিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার মানসকুমার মণ্ডল এই সময় ডিজিটালকে বলেন, “পার্কটিকে নারায়ণ দেবনাথের বিভিন্ন কার্টুন চরিত্রের মূর্তি দিয়ে সাজানো হচ্ছে। পার্ক বসানো হবে হাঁদাভোঁদা, বাঁটুল দি গ্রেটের মূর্তিও। পাশাপাশি পার্কের ভেতরে যে কাঠের সেতুটি ভেঙে পড়েছিল তাও নতুন করে তৈরি করা হবে।”
ভবিষ্যতে সেখানে মিউজিক সিস্টেম লাগানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। সেক্ষেত্রে পর্যটকরা পার্কে এসে গান শুনতে পারবেন। একইসঙ্গে বাড়ানো হচ্ছে আসন সংখ্যাও। জলাশয়ের চারপাশে পর্যটকদের বসার জন্য আসন তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি জলাশয়ে রাজহাঁসের সংখ্যাও বাড়তে পারে। পাশাপাশি অমরাবতীকে CCTV-র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হবে, জানা গিয়েছে এমনটাই।
উল্লেখ্য, দিঘায় বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম আকর্ষণ ‘অমরাবতী’। সেখানে পার্কের মধ্যে একটি কৃত্তিম দ্বীপ রয়েছে। রয়েছে কৃত্তিম ঝরনাও। জলাশয়ে বোটিং করার ব্যবস্থাও রয়েছে। পার্কটিকে যাতে নতুন করে সাজিয়ে তোলা যায়, সেই বিষয়ে তৎপর প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, ইয়াস এবং আমফানের পর রীতিমতো তছনছ হয়ে গিয়েছিল বাঙালির অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র দিঘা। কিন্তু, বাংলার পর্যটন শিল্পে যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেজন্য নতুন করে দিঘার সৌন্দর্যায়নে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করা হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
দিঘাতে পুরীর আদলে জগন্নাথ মন্দির তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, বহু মানুষ দিঘায় আসেন প্রতিদিন। বিভিন্ন সমস্যার কারণে সকলের পক্ষে সবসময় পুরীতে যাওয়া সম্ভব হয় না। যাতে দিঘাতেই জগন্নাথ দর্শন সম্ভব হয়, সেই জন্য পদক্ষেপ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।