হাওড়া জেলায় ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতি প্রসঙ্গে এদিন মীনাক্ষী বলেন, “গোটা হাওড়া জেলা জুড়ে একশো দিনের কাজের টাকা এরা লুট করেছে এই জেলা পরিষদ। কেন্দ্রের বাহিনী রোজ ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছে। না, এখনকার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে FIR করা হয়েছে। না, এখনকার কর্তৃপক্ষ দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যাবস্থা নিয়েছে।”
এমনকি হাওড়া ভুয়ো চাকরির চক্র কাজ করলেও পুলিশ কোনও ব্যাবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। বুধবার DYFI-এর হাওড়া জেলা পরিষদ অভিযান করে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সকাল থেকেই হাওড়া স্টেশনে জমায়েত শুরু হয়।
১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি এবং বেকারত্ব ইস্যুতে এদিন মিছিলের আয়োজন করে DYFI। হাওড়া জেলা পরিষদে এদিন ডেপুটেশন জমা দেওয়ার কর্মসূচি নেয় DYFI। মীনাক্ষী এদিন অভিযোগ করে বলেন, গোটা হাওড়া জেলা পরিষদ অফিসকে কেন্দ্র করে ‘ভুয়ো চাকরির চক্র’ কাজ করছে। পাশাপাশি, ১০০ দিনের কাজ নিয়েও প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
হাওড়া জেলা পরিষদ অফিসের সামনে এদিন বামেদের মিছিলকে আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে বাম কর্মী, সমর্থকদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এরপর জেলা পরিষদ অফিসের সামনেই বসে পড়েন DYFI কর্মী, সমর্থকরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরেই জেলা পরিষদ অফিসের সামনে তাঁদের অবরোধ চলতে থাকে।
হাওড়ার পাশাপশি, এদিন রামলীলা ময়দান থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করে বামেরা। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বাম প্রবীণ নেতা বিমান বসু। এদিনের বামেদের মিছিলের পাশাপাশি কংগ্রেসের মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল রাহুল গান্ধী ইস্যুতে। বামেদের মিছিলে যোগ দেয় কংগ্রেস কর্মীরাও।
মিছিল দিয়ে CPIM নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, “তৃণমূল আর BJP বাদ দিয়ে সব মানুষ একত্রিত হয়েছে। তৃণমূল এবং BJP-র দালালরা বাদ দিয়ে সকলে এই মিছিলে পা মিলিয়েছেন।” বামেদের মিছিলের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীরা যুক্ত হয়ে যাওয়ায় এই মিছিলকে ‘ঐতিহাসিক’ মিছিল বলেও উল্লেখ করেন CPIM নেতা মহম্মদ সেলিম।