এই সময়: স্কুল ক্যাম্পাসের মধ্যে এক শিশুকন্যার উপরে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল জিডি বিড়লা স্কুল। ২০১৭ সালের ওই ঘটনায় গণধর্ষণ ও পকসো আইনের ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হলো স্কুলে সেই সময়ে কর্মরত শারীরশিক্ষার দুই শিক্ষককে। আলিপুর আদালতের বিশেষ পকসো কোর্টের বিচারক মানসরঞ্জন সান্যাল ৩১ মার্চ দুই অপরাধীর সাজা ঘোষণা করবেন।

Paschim Medinipur : ২ নাবালিকাকে দিয়ে মেটাচ্ছিলেন যৌন লালসা! জানাজানি হতেই শ্রীঘরে প্রতিবেশী দাদু
অভিযোগ উঠেছিল, শিশুটিকে স্কুলের শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। স্কুল ছুটির পর অভিভাবকরা গিয়ে দেখেন, মেয়ে অঝোরে কাঁদছে। পোশাকে রক্ত লেগে। অভিভাবকরা শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে জানতে পারেন, নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। স্কুলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে অভিভাবকদের আন্দোলন শুরু হয়। দুই অভিযুক্ত শিক্ষক মহম্মদ মফিজুল এবং অভিষেক রায়কে পকসো আইনে গ্রেপ্তার করা হয়।

Purulia School : শিক্ষকদের দেখা নেই, খেলাধূলা করেই সময় কাটায় পুরুলিয়ার এই স্কুলের পড়ুয়ারা
এ দিন আদালতের রায়ের পর নির্যাতিতা শিশুটির মা-বাবা আবেগে ভেসে যান। বাবার কথায়, ‘এই সাড়ে পাঁচ বছর ধরে প্রতিদিন লড়াইটা লড়েছি। মেয়ের মুখের দিকে তাকাতে পারিনি।’ সরকারি কৌঁসুলি মাধবী ঘোষ জানান, দুই অভিযুক্তকেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ডি (গণধর্ষণ), পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারায় (শিশু ধর্ষণ) দোষী সাব্যস্ত করেছেন বিচারক। স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল বিজয়া ভরদ্বাজ এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version