শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এই মুহূর্তে ধৃত বিজেপি নেতা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই রয়েছেন। যে কোন মুহূর্তে তাঁকে সেখানে থেকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবে পুলিশ। সূত্রের খবর জিতেন্দ্রকে কলকাতার ছায়া সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই তাঁর পরবর্তী চিকিৎসা হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
আসানসোল জেলা হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিক্যালে নিয়ে আসার পর তাঁর দু’বার ইসিজি ও তিন বার ট্রপ-টি (Trop T) করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, V1,V2 ও V3 তে সামান্য সমস্যা দেখা গেলেও তিনবারই তাঁর ট্রপ-টি (Trop-T) রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। প্রাথমিকভাবে জটিল কোনো সমস্যা ধরা না পড়লেও নিশ্চিত হতে হাসপাতালের চিকিৎসকরা আবার ইকো-কার্ডিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেন। এই মুহূর্তে বিজেপি নেতা বর্ধমান হাসপাতালের পুলিশ সেলেই রয়েছেন। আর কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেওয়া হবে।
বুধবারই হঠাৎ করে বুকে ব্যথা শুরু হয় জিতেন্দ্রর। এর পাশাপাশি শ্বাসকষ্টও হচ্ছিল। জেল কর্তৃপক্ষকে সেই কথা জানাতেই তড়িঘড়ি তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার সকালেই জিতেন্দ্র স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তাঁর স্ত্রী তথা বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি। তিনি জানিয়েছিলেন, জিতেন্দ্র ভালো নেই। তাঁর অক্সিজেন চলছে, এমনকী ঠিক করে কথাও বলতে পারছেন না।
উল্লেখ্ষ ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলের এক কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে এক শিশু সহ তিনজনের মৃত্যু হয়। সেই অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন জিতেন্দ্র ও তাঁর স্ত্রী চৈতালি। এরপরই চলতি মাসে তাঁকে নয়ডা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবারই তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। জিতেন্দ্রর শারীরিক অবস্থার দিকে নজর থাকবে সকলের।