স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষককে ইতিমধ্যেই সবং থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁকে সেখানে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি জানিয়েছেন ওই স্কুল শিক্ষককে ইতিমধ্যেই শোকজ করা হয়েছে। শোকজের উত্তর দেখার পর তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্কুলের পড়ুয়া অমিত সাহা বলেন, “স্যার আমাদের অকারণে মারধর করে। আজই এমনই ঘটনা ঘটেছে। আজও এমন ধরনের ঘটনা ঘটেছে। স্কুলে আসতে আমাদের খুব ভয় লাগে। পড়াশোনা করতে ইচ্ছেও করেন না।”
অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে অভিভাবকরাও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মিতা মাহাতো নামে এক অভিভাবক এই প্রসঙ্গে বলেন, “অকারণে স্কুলের ছাত্রদের মারধর করা হয়েছে। ছেলেমেয়েরা স্কুলে পড়াশোনা করতে আসে, এইভাবে তাঁদের মারধর করা উচিৎ। এই স্কুল শিক্ষকের মারধরের বিরুদ্ধে ও তাঁর বদলির দাবিতে আমরা এখানে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি।”
স্কুলের আরও এক অভিভাবক বাবলু বাউড়ি এই প্রসঙ্গে বলেন, “বাচ্চারা স্কুলে পড়াশোনা করতে আসে। সেখানে অকারণে তাঁদের ব্যাপকভাবে মারধর করা হয়েছে। কী কারণে মারধর করা হল তা কেউই বলতে পারছে না। আগেও এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তাঁকে দ্রুত স্কুল থেকে সরিয়ে দিতে হবে।”
অন্যদিকে দুর্গাপুরে বিশেষভাবে সক্ষমদের একটি হোমে পড়়ুয়াদের নগ্ন করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। যদিও গোটা ঘটনার কথা অস্বীকার করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা সরাসরি স্কুলের সুপারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তাঁদের দাবি, স্কুলের নাম বদনামের জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।