রাজ্যসরকারকে এমন অশান্তি নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শও দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । তাঁর মতে, ”এমন অশান্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদি দুই পরিকল্পনা নিতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় বেশ কিছু ভাগ আছে। যেমন, এলাকা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ। এজেন্সিদের থেকে পাওয়া তথ্য কাদজে লাগিয়ে বড় ঘটনা আটকানোর জন্য প্রস্তুত থাকা।”
কথা প্রসঙ্গে রাজ্যপাল পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ”ঘটনার দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আরও তৎপর হওয়া উচিত ছিল পুলিশের। পুলিশের উচিত লক্ষ্য স্থির রেখে নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়া। অশান্তি তৈরির পিছনে কারা ছিল সেদিন তাদের চিহ্নিত করে, ভয় না পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিশকে। তাদের উপর থেকে রাজ্যবাসীর ভরসা না চলে যায়। কিছু ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নিতে হবে। এমন অ্যাকশন যাতে কাজ হয়।”
এই ঘটনায় রাজভবনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজ্যপাল বলেন, ”রাজভবন মানুষের জন্যই তৈরি। এই সিস্টেমের থেকে আলাদা নয়। দেশবাসীর জন্যই সংবিধান তৈরি হয়েছে। রাজ্যপালকে সেই সংবিধানের আওতার মধ্যে থেকেই কাজ করতে হয়। সাধারণ মানুষের সুখ সুবিধা দেখাই রাজ্যপালের কাজ। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা কেমন তা নিয়ে কোনও বিশেষ ব্যক্তির ভাবনা গুরুত্বপূর্ণ নয়। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের মানুষ কী ভাবছেন, সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ নিজেকে সুরক্ষিত যাতে মনে করে, সেটা দেখাই প্রশাসনের কাজ।”
হাওড়ার শিবপুরের অশান্তি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ফোন পেয়ে শুক্রবার পরিদর্শনে যান বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরপরই রাজভবনের তরফে কড়া ভাষায় ঘটনার নিন্দা করে একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়।