জানা গেছে জলপাইগুড়ি ভানু নগর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন অমিত বিশ্বকর্মা। তিনি ডাবগ্রাম ফুলবাড়ীতে পশ্চিমবঙ্গ সশস্ত্র পুলিশের কনস্টেবল চালকপদে কর্মরত ছিলেন। ঠিক কী কারণে তিনি আত্মঘাতী হলেন, নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আত্মঘাতী হওয়ার পিছনে ঠিক কী কারণ ছিল, তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকদিনের মতো রবিবারও কাজে গিয়েছিলেন অমিত। কর্তব্যরত অবস্থায় বাথরুমে ঢুকে সার্ভিস রিভলবার দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। গুলির আওয়াজ পেয়ে অন্যান্য সহকর্মীরা তাঁকে বাথরুম থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অমিতের ছেলে কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দার্জিলিং-এ জি২০ সামিটে আগত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নিরাপত্তায় অমিতকে মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু কী কারনে এমন ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অমিতের দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারন জানা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মৃত পুলিশকর্মীর ভাই সুমিত বিশ্বকর্মা এই প্রসঙ্গে বলেন, “শুনলাম কর্তব্যরত অবস্থায় দাদা বাথরুমে ঢুকে সার্ভিস রিভলবার দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কেন এমন করল জানি না। দাদার ছেলে মেয়েরা এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তাঁদের কী হবে জানি না। পুলিশ তদন্তে নেমেছে বলেই শুনেছি।”
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক পুলিশকর্মী এই প্রসঙ্গে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে চিনি। অমিত যে কোনওদিন এমন কাণ্ড করতে পারে তা ভাবতেও পারিনি। কী এমন হল জানি না, যে কারণে নিজের জীবন ওকে শেষ করে দিতে হল। তদন্ত চলছে, কী কারণ উঠে আসে দেখা যাক। খুবই খারাপ লাগছে।”