চন্দ্রকোণার সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কার্যত হুঙ্কার দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আদালতের রায়ের পর শর্তসাপেক্ষে সভা করার অনুমতি পেয়েছেন শুভেন্দু। সেই সভা থেকে ‘নো ভোট টু মমতা’-র ডাক দিয়ছেন বিরোধী দলনেতা। এমনকী এদিনের সভাতে লাল হরফে নো ভোট টু মমতা’ লেখা সাদা টি-শার্ট পরে বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু।

Suvendu Adhikari : ‘মোমিনপুর-ইকবালপুরের মতো ঠান্ডা করব’, হাওড়া হিংসা নিয়ে তোপ শুভেন্দুর
তিনি বলেন, “সভা বাতিল হয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু এই সভাটা হচ্ছে। আটকাতে পারবেন না কোনওভাবেই। সিপিএম আপনাদের থেকেও কঠিন জিনিস ছিল, আপনাদের সঙ্গে নিয়ে আমি তাঁদের তুলে ফেলে দিয়েছি। ২০১০ সালে আমি লড়াই করেছি, আমি সবটা জানি। ২০১৯ সালে বিজেপি ১৮টি আসন পাওয়ার পর আজকের সব মাতব্বররা ঘরে ঢুকে গিয়েছিল। আমি তখন এখানে এসে বন্ধ হয়ে যাওয়া তৃণমূলের অফিস খুলেছি।”

এদিনের সভা থেকে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর করার ডাক দিয়েছিল শুভেন্দু। তিনি বলেন, “বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মোদী জি, অমিত শাহ ও নাড্ডাজি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর দায়িত্ব আমাকে দিয়েছিল। সেই কাজ করেছি। মমতাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করার কাজ এখনও বাকি। আপনাদের সঙ্গে নিয়ে সেই কাজও করব।”

Suvendu Adhikari : হাওড়ার ঘটনায় ‘দেশ বিরোধী শক্তি’! NIA-CBI তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে শুভেন্দু
শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূলকে একদম তুলে ফেলতে হবে, একদম ভয় পাবেন না। উত্তর প্রদেশ, গুজরাটে রামনবমীর এত মিছিল হয়েছে, একটাও কোনও ঘটেনি। তৃণমূলের পাশ থেকে সংখ্যালঘুরা সরে যাচ্ছেন। বগটুই, আনিস খান ও সাগরদিঘির উপনির্বাচনের পর সংখ্যালঘুরা ভুল বুঝতে পেরেছে। এনআরসির নামে তাঁদের ব্যবহার করেছে এটা সংখ্যালঘুরা বুঝতে পেরেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছেন। হাওড়া ও রিষড়ার হিংসার ঘটনায় তৃণমূলের গুন্ডারা যুক্ত। হাত থেকে ভোট বেরিয়ে যাচ্ছে তাই এই কাজ করানো হচ্ছে।”

পূর্ব মেদিনীপুরের সরকারি অনুষ্ঠান থেকে ৬ এপ্রিল হনুমান জয়ন্তীর দিন অশান্তির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “হনুমান জয়ন্তীর দিনও অশান্তির কথা বলছেন, এ কেমন মুখ্যমন্ত্রী!”

Mamata Banerjee : সোমে জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী, অধিকারী গড়ে মমতার জোড়া সভা ঘিরে তুঙ্গে তৎপরতা
খেজুরিতে এদিন সরকারি সভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী সোমবার সেই মাঠে পালটা সভায় দ্বিগুণ ভিড় করার হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “আমি সোমবার একই মাঠে তিনগুণ লোক নিয়ে সভা করব। মমতার সভায় বিডিওরা সরকারি সুবিধার লোভ দেখিয়ে লোক তুলে আনা হয়েছিল। দিঘায় সভায় যা বলবেন, তার উত্তর নদিয়ার হাঁসখালির সভায় দেব।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version