West Bengal News : আত্মহত্যার প্ররোচনায় দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সৈকত চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন শিখা চ্যাটার্জি। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমুল যুব সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জি খুব প্রভাবশালী। তাকে তাঁর পদে রেখে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে না। এমনকি তিনি তদন্তে প্রভাব খাটাচ্ছেন তাই মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন মৃতের দিদি তথা ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভার BJP বিধায়ক শিখা চ্যাটার্জি।

Malda Congress : তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে আসায় মারধর, অভিযোগ থানায়
এদিকে জলপাইগুড়ি তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, “জোড়া আত্মহত্যার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। এটা সৈকতের ব্যক্তিগত বিষয়।” যদিও সৈকত দাবি করেছেন দল তার পাশে আছে।

শিখা চ্যাটার্জি বলেন, “আমি ২০১৩ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলাম। কিন্তু বিধায়ক ছিলাম না। চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা আমার ছিল না। আমি থাকতাম ডাবগ্রামে বাড়িতে। ফলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। পুলিশের তদন্তের ওপর আমাদের কোনও ভরসা নেই।” শিখা চ্যাটার্জির অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে সৈকত অবৈধ কার্যকলাপ করছেন।

Sovandeb Chattopadhyay : ‘কম দামে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা’, অভিযোগ কৃষি মন্ত্রীর
এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন শিখা চ্যাটার্জি। এদিন জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গেও ও দেখা করেন শিখা চ্যাটার্জি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার ঘটনায় যারা মুল অভিযুক্ত তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না।”

এদিন BJP-র জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী অভিযোগ করে জানান, “পুলিশ অভিযুক্ত জলপাইগুড়ির পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরকে বাঁচাতে চাইছে ও আড়াল করার চেষ্টা করছে। গত ডিসেম্বর মাসে একটি FIR হয়েছিল। ডিসেম্বর মাসে যারা FIR করতে গিয়েছিল, সেই দিনের CCTV ফুটেজ সংরক্ষণ করা হোক। অভিযুক্তদের বাঁচানোর জন্য পুলিশ পুরনো তারিখে অভিযোগ দায়ের করছে। পুলিশ যদি এমন কাজ করে, আমাদের আদালতে CBI তদন্তের দাবি জানাব। প্রয়োজনে আমরা IC ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও মামলা করব। সৈকত চ্যাটার্জি শিশু পাচারের কাজে যুক্ত। তৃণমূল কংগ্রেসের জমি মাফিয়া ও গুন্ডাদের অত্যাচারে দুইজন সমাজসেবী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হলেন। আজ তিনি বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।”

Jalpaiguri District Court : ধর্ষণ মামলায় জামিন পেয়েও জুটল ১০ বছরের সাজা, সঙ্গে মোটা টাকা জরিমানা
অন্যদিকে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে জোড়া আত্মহত্যার ঘটনায় আদালতের নজরদারিতে তদন্ত করার আবেদন জানানো হয়েছে জেলাশাসকের কাছে। এদিকে অভিযুক্ত সৈকত চ্যাটার্জি জানান, “আমার বিরুদ্ধে যারা বলছেন আমি জমি মাফিয়া, আমি তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব। মনোময় সরকারের কাছ থেকে শিখা চ্যাটার্জি ২১ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে কোতয়ালিতে অভিযোগ জমা পরেছে। ৪/৪/২৩ তারিখে আইনজীবীর মাধ্যমে শিখা চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন মনোময় সরকার। আমি চাই নিরপেক্ষ তদন্তে হোক।”

সৈকত চ্যাটার্জি অভিযোগ করেন, আত্মহত্যার পিছনে শিখা চ্যাটার্জির হাত রয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version