এদিন সকাল এগারোটা নাগাদ পুরুলিয়ায় কুড়মি নেতা অজিতপ্রসাদ মাহাতো জানান, ”রাজ্যের প্রস্তাব তারা মানছেন না। যদিও আপাতত বনধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” এরপরই রেল লাইন থেকে অবরোধ সরিয়ে নেয় অজিত মাহাতোর অনুগামী ও সমর্থকেরা। অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরে এই আন্দোলনের নেতৃত্বে আছেন রাজেশ মাহাতো। খেমাশুলিতে অবরোধে থাকা কুড়মি সমাজের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে এমন কোনও নির্দেশ পাননি। আপাতত কুড়মি আন্দোলন অব্যাহত পশ্চিম মেদিনীপুরে।
প্রসঙ্গত, পুরুলিয়ায় আদিবাসী সমাজের রেল অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার হতেই খেমাশুলি স্টেশনে এসে পৌঁছালেন রেল পুলিশের আধিকারিকরা। ঘুরে দেখছেন স্টেশন চত্বর। কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না ঘটে তার উপর নজর রাখছেন আধিকারিকরা।
এই আন্দোলনের জেরে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে রেল পরিষেবায়। পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ায় টানা ১২০ ঘণ্টার এই অবরোধের জেরে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বাঁকুড়া জেলার রেল পরিষেবাতেও। গত কয়েক দিনের মতো রবিবারও সকাল থেকে ঐ অবরোধের জেরে খড়্গপুর-আদ্রা শাখায় একের পর এক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এদিনও খড়্গপুর-হাটিয়া ১৮০৩৫, খড়্গপুর-রাঁচি ১৮০৮৫, পুরুলিয়া-হাওড়া সুপার ফাস্ট ১২৮২৮, ১২৮৮৩ রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস, ১৮০১২/১৪ হাওড়া-চক্রধরপুর ট্রেন বাতিল হয়েছে। বাতিল হয়েছে খড়গপুর-হাটিয়া এক্সপ্রেস। এমনকি বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে, অথবা রুট ছোট ও সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
মেদিনীপুরে এখনও অবরোধ থাকায় আপাতত রেল পথে ভোগান্তির এখনই শেষ হচ্ছে না। একইসঙ্গে অবরুদ্ধ ৬ নং জাতীয় সড়কও।