রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর। এবার বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে (Bangla Sahayata Kendra) মিলবে আধার পরিষেবা (Adhar Card Update)। জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রায় এক হাজার কেন্দ্র (BSK) থেকে এই সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষ। রাজ্যে ৩ হাজারের কিছু উপরে BSK রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে ওই সংখ্যক কেন্দ্রে এই পরিষেবা চালু হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হয়েছে বলেও রাজ্য প্রশাসনের একটি সূত্রে খবর। যদিও এখনই জেলা প্রশাসনের কর্তারা এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না। তবে নবান্নের একটি সূত্রে এমনই খবর মিলেছে। আধার পরিষেবা এখন অবধি পাওয়া যায় সাধারণত ডাকঘর এবং আধার সেবা কেন্দ্রগুলি থেকে। এক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রেই হয়রানির স্বীকার হতে হয় বলে অভিযোগ। কিছু সময় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়। ফলে এই সিদ্ধান্তে বিপুল সংখ্যক মানুষ উপকৃত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Bhabishyat Credit Card Scheme : মিলবে ৫ লাখ পর্যন্ত লোন, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেই যুবক-যুবতীদের ‘ভবিষ্যৎ’ গড়ার সুযোগ
বিভিন্ন দফতরের অনলাইন পরিষেবা আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে কেন্দ্রের ‘তথ্যমিত্র কেন্দ্রে’র ধাঁচেই রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। এই কেন্দ্র (বিএসকে) রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই কেন্দ্র চালুর নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অধিকাংশ পরিষেবার জন্যই এখন অনলাইনে আবেদন করতে হয়। কিন্তু, সব জায়গায় সাইবার ক্যাফে নেই। থাকলেও যেমন খুশি টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই সব বিবেচনা করেই এরকম কেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য।

কোথায় কোথায় রয়েছে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র

Kolkata Traffic Police : কড়া কলকাতা পুলিশ! বাসের উইন্ডস্ক্রিনে রুট লেখা বোর্ড সরনোর নির্দেশ
প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলা সদর, মহকুমা সদর, ব্লক সদরেও একাধিক সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে। ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় হাসপাতাল, গ্রন্থাগার, পঞ্চায়েত অফিসে এই সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, প্রতিটি সহায়তা কেন্দ্রে দু’জন করে কর্মী থাকেন। প্রয়োজনে বিভিন্ন পরামর্শও দেন।

Duare Sarkar News: জলপথে দুয়ারে সরকার? জানুন বিস্তারিত

তথ্যমিত্র কেন্দ্রগুলি রয়েছে কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনে। আর এ ক্ষেত্রে সহায়তা কেন্দ্রগুলি থাকছে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের অধীনে। এই কেন্দ্র চালুর ফলে নিজস্ব প্রকল্প, পরিষেবাগুলির নিবিড় প্রচার করা সহজ হয় রাজ্যের কাছে। সরকারি পরিষেবাগুলি দ্রুত মানুষকে পৌঁছনোও সম্ভব হবে। গ্রামাঞ্চলে সকলের হাতে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ নেই। ইন্টারনেট সংযোগও নেই। অথচ, এখন বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন অনলাইনে করতে হয়। বিভিন্ন দফরের ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্যও থাকে। অনেকে মনে করছেন, তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত মানুষের জন্যই এই ধরনের সহায়তা কেন্দ্র চালুর উদ্যোগ।

Medhashree Scholarship : মাত্র ২ দিনেই মেধাশ্রী, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বর্ধমানের ছাত্রের স্বপ্নপূরণ
বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে যেহেতু বিনামূল্যে পরিষেবা পাওয়া যায়, তাই আধার পরিষেবাও এখান থেকে বিনামূল্যে পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version