মূলত তাঁদের লক্ষ্য বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের সচেতন করা ও তাদের মধ্যে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতাবোধ তৈরি করা। পাল ও দাসবাবুরা বার্তা দিচ্ছেন, পরিবেশকে রক্ষা করতে পারে একমাত্র গাছ। তাই প্রতিটি মানুষের গাছ লাগানো প্রয়োজন। তারা শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে নয়, অন্যান্য রাজ্যেও পরিবেশ রক্ষার্থে সচেতনতার বার্তা নিয়ে পৌঁছে যান ও সাধারণ মানুষদের সচেতন করেন।
উল্লেখ্য, যখন মানুষ নিজেদের আধুনিকী করণ করতে গিয়ে পরিবেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তখন তারক চন্দ্র পাল, সঞ্জীত কুমার দাসরা নিজেদের নয়, পরিবেশের কথা চিন্তা করছেন। চিন্তা করছেন আগামী দিনে পরিবেশকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায়। এই বিষয়ে তারক চন্দ্র পাল জানান, “ঝাড়খন্ড ওডিশা সহ এমন কি লাদাখ পর্যন্ত আমি সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি।
বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে সাধারণ মানুষদের কিভাবে পরিবেশকে সতেজ রাখা যায় সেটা নিয়ে বার্তা দিয়ে এসেছি। আগামী দিনে প্রত্যেকে গাছ লাগান, পরিবেশকে বাঁচান, সাধারণ মানুষদের এই বার্তা দেব”। সঞ্জীত বাবু পেশায় অবসর প্রাপ্ত তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মী। তিনি জানান, “আমি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ ভ্রমন করে এসেছি। পশ্চিমবঙ্গ পরিক্রমার পর শ্রীলঙ্কা পাড়ি দেব ভেবে রেখেছি।
দিনের পর দিন যেভাবে উষ্ণায়ন বাড়ছে পৃথিবী জুড়ে, বৃক্ষ নিধন এর পিছনে এক বড় কারন। গাছ কেটে কেটে জায়গায় জায়গায় জনবসতি গড়ে তোলা হচ্ছে। অথচ সেই জায়গায় পর্যাপ্ত পরিমানে গাছ লাগানো হচ্ছে না। এই সমস্যা শুধু আমাদের দেশে না, গোটা বিশ্বে।
তাই সামর্থ্য মতন নিজের দেশ বাদ দিয়েও কিছু কিছু অন্য দেশে গিয়ে সচেতনতা প্রদানের চেষ্টা করি”। তারক ও সঞ্জীত বাবু, দুই বন্ধু মিলে পরিবেশ বাঁচানোর কথা ভেবেছেন তাও এই যুগে দাঁড়িয়ে, এ যেন এক অন্যরকম দৃশ্যর সাক্ষী থাকলো বাঁকুড়া জেলা।