দুর্গাপুরে ফের বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। এদিন দুর্গাপুরে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখান মিছিল করার কথা ছিল তাঁর। মিছিল শুরু হতেই মহিলা নেত্রীকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ফেলে পেটানোর অভিযোগ উঠল। এমনকী তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ উঠে্ছে।

Sukanta Majumdar : দণ্ডি কেটে ঘর ওয়াপসি: রাষ্ট্রপতিকে চিঠি সুকান্তর
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সুকান্ত মজুমদারে মিছিলের সঙ্গে একাধিক বিধায়ক ও নেতা কর্মীরা মিছিলে হাঁটছিলেন। আর ওই মিছিলে বিজেপির জেলা সভানেত্রীকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠল দলেরই কর্মীদের বিরুদ্ধে। দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে মঙ্গলবার বিকেলে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আহত বিজেপি নেত্রীর নাম ভারতী চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে গুরুতর অবস্থায় তিনি চিকিৎসাধীন।

BJP West Bengal : বিজেপির কোন্দলে উত্তপ্ত বর্ধমান, জেলা অফিসে তালা! দু’পক্ষের হাতাহাতিতে তুলকাালাম
পরিকল্পনা করে তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই বিজেপি নেত্রী। তিনি বলেন, “দলের দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভার ১ নং মন্ডলের সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়ের এক অনুগামী সুমন গোপ আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। তার পরই একজন মহিলা আমার গলার উত্তরীয়টা ফাঁস লাগিয়ে দেয়। কিছু বলার আগে রাজা সহ ২-৩ জন মহিলা আমার বুকে পেটে লাথি মারতে শুরু করে। গলায় ফাঁস লাগানো থাকায় কিছুক্ষনের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলাম। জ্ঞান ফিরতেই দেখি হাসপাতালের বিছানায়।” তিনি জানিয়েছেন, তাঁর অন্যান্য সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

ভারতী ওপর হঠাৎ করে এই ধরনে হামলা কেন? জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে দলের দায়িত্ব পাওয়ার পর, সংগঠনের কাজ দায়িত্বের সঙ্গে পালন করে চলেছেন তিনি। সম্প্রতি, দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে তার নেতৃত্বে একাধিক কর্মসূচী পালন করে দলীয় নেতৃ্ত্বের নজরে আসেন। সেই কারণেই তাঁর উপরে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভারতী।

Aparupa Poddar : ‘…ফিরতে হলে প্রায়শ্চিত্ত করতেই হবে’, দণ্ডিকাণ্ডে তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যে বিতর্ক
ঘটনায় তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি তথা পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধয়াকনরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপি একচি উৎশৃঙ্খল দল। মহিলাদের সম্মান দেয় না। এটাই তাদের সংস্কৃতি। ওই মহিলার যদি কোনও সাহায্য লাগে, তবে আমরা সবরকমভাবে তাঁর পাশে থাকব।” এই প্রসঙ্গে বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অভিজিত দত্ত বলেন, “গোটা বিষয়টির কথা আমাদের কানে এসেছে। বিষয়টি দলগতভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version