West Bengal News : পণের জন্য গৃহবধূর উপর অত্যাচার করে খুনের অভিযোগ। পুরুলিয়ায় গ্রেফতার গৃহবধূর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ননদ। শুক্রবার অভিযুক্ত চারজনকেই পুরুলিয়া আদালতে পেশ করে পুলিশ। গৃহবধূর স্বামীকে পুলিশি হেফাজত এবং বাকিদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। অভিযুক্ত স্বামীর কঠোরতম শাস্তির আবেদন জানিয়েছেন গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা।

গত বুধবার দুপুরে পুরুলিয়া শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পূজা খাঁর (২৫) অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন তাঁর বাবা-মা। তখনই তার বাবা উজ্জ্বল কুমার মল্লিক দাবি করেছিলেন, যে তাঁর মেয়েকে মেরে ফেলেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। খুনের অভিযোগ তুলে তিনি পুরুলিয়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

Nadia News : ‘আপনার মেয়েকে খুন করেছি’, প্রেমিকার মাকে ফোন করে বলল যুবক
এই ঘটনায় মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পূজার স্বামী শ্রীকান্ত খাঁ, শাশুড়ী আরাধনা খাঁ, ননদ রজনী খাঁ ও শ্বশুর সঞ্জয় খাঁকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার তাঁদেরপুরুলিয়া আদালতে তোলা হলেবিচারক শ্রীকান্ত খাঁকে ৫ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজত এবং বাকিদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

গৃহবধূর পরিবার সূত্রে খবর, বছর দুয়েক আগে ঘটক মারফত যোগাযোগ করে দুজনের বিবাহ হয়। পাত্র পক্ষের পণ হিসাবে দাবি ছিল, ১০০ গ্রাম সোনা ও এক লাখ টাকা। কিন্তু গৃহবধূর বাবা ১০০ গ্রাম সোনা ও তিরিশ হাজার টাকা দিতে পেরেছিলেন।

কিন্তু বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই গৃহবধূকে বাকি টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিত শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা। এমনকি তার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি এও বলেন যে, মেয়ে শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের কথা প্রায়ই তাঁর মাকে বলতো।

Cooch Behar News : শীতলকুচির ছায়া মাথাভাঙায়! ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধর উন্মত্ত প্রেমিকের
একদিন তাঁর মেয়েকে ‘গরীব ঘরের মেয়ে’ বলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি। পূজার স্বামী, শাশুড়ি, শ্বশুর ও ননদ তাঁকে বাকি টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিত। বাকি টাকা না আনলে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকিও দেওয়া হতো বলে অভিযোগে দাবি করেছেন মৃতার বাবা।

এরপর গত বুধবার পূজার শ্বশুর মৃতার বাবাকে ফোন করে জানান যে তাঁর মেয়ের শরীর খারাপ তিনি যেন তাড়াতাড়ি আসেন। খবর পেয়ে পুরুলিয়া এসে উজ্জ্বল বাবু জানতে পারেন তাঁর মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন তাঁর মেয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

West Bengal Trending News : দিনভর চলত ঝগড়া, বউমাকে অপহরণের ছক শাশুড়ির?
তাঁর পাশে শ্বশুরবাড়ির লোকজন কেউ নেই। মৃতার বাবা বলেন, “সেদিন আমরা মেয়ের শরীরে মারধরের চিহ্ন দেখতে পেয়েছিলাম। কিন্তু ও আত্মহত্যা করে নি, আত্মহত্যা করলে গলায় দাগ থাকতো কিন্তু তা ছিল না।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version