স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত BJP নেতা গোবিন্দ গায়েন দীর্ঘদিন উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভার BJP-র এস সি মোর্চার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে আমতা থানার ভান্ডারগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের শেরপুরে। আহত ওই BJP নেতা উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনার পর ওই BJP নেতা চন্দ্রপুর ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে খবর। ঘটনা সম্পর্কে BJP নেতা গোবিন্দ গায়েন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে এলাকার একটি হরিবাসের আয়োজনে তিনি গিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ রাত ১২ টা ৩০ নাগাদ হরিবাসর থেকে ফেরার সময় তৃণমূল আশ্রিত কিছু দুস্কৃতী তাঁর উপর হামলা চালায়।
তিনি বলেন, “আমাকে বেধড়ক মারধর করে।” গোবিন্দ গায়েনের অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূল আশ্রিত এই দুই দুস্কৃতী তাঁকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। এমনকি গত তিনদিন ধরে ফোনে আমাকে হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ তাঁর। এদিকে BJP নেতা আহত হওয়ার খবর পাওয়ার পরেই তাঁকে দেখতে হাসপাতালে আসেন BJP-র হাওড়া গ্রামীণ জেলা সভাপতি অরুন উদয় পাল চৌধুরী, জেলার পঞ্চায়েত কনভেনার রমেশ সাঁধুখা সহ অন্যান্য BJP নেতারা।
BJP নেতা রমেশ সাঁধুখা অভিযোগ করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের পায়ের তলায় মাটি সরে যাওয়াতে ওরা আতঙ্কে ভুগছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করার জন্য তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন BJP নেতা রমেশ সাঁধুখা। এর ফলাফল আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাওয়া যাবে বলে কটাক্ষ করে BJP নেতৃত্ব।
যদিও হামলার কথা অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস। হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ধনঞ্জয় বাকুলি জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে BJP নিজেদের পালে হাওয়া টানতে মিথ্যা অভিযোগ করছে। তবে গোটা ঘটনায় ওই এলাকায় চাপা রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অস্থিরতা আরও বাড়বে বলে আশংকা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।